দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মামলা চলার পর এক পৌড়া কে খুনের দায়ে বুধবার মহিষাদল কালিকা কুন্ডু এলাকার বাসিন্দা প্রবীর কুমার ঘুমট্যাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সাজা দিল হলদিয়া মহকুমার আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা খুনের দায়ে অভিযুক্তকে যাব…
দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মামলা চলার পর এক পৌড়া কে খুনের দায়ে বুধবার মহিষাদল কালিকা কুন্ডু এলাকার বাসিন্দা প্রবীর কুমার ঘুমট্যাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সাজা দিল হলদিয়া মহকুমার আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা খুনের দায়ে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দু বছরের জেল নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে৩৭৯ ধারা চুরির দায়ে তিন বছরের জেল দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল নির্দেশ দেয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। দুটি সাজা একই সঙ্গে চলবে। এদিন হলদিয়া ফাস্ট ট্রাক কোটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনিল কুমার প্রসাদ এই রায় ঘোষণা করেন।
সরকারি আইনজীবী দিলীপ কুমার শীল বলেন ২০০৯ সালের ২৪ শে মার্চ মহিষাদল কালিকা কুন্ডু গ্রামের বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়স্ক আঙ্গুরবালা জানাকে টিভি দেখতে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রবীর শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে।
ওই মহিলার ছোট ছেলের শম্ভুনাথ নিয়মিত মদের আসরে প্রবীর ডেকে নিয়ে যেত বলে অভিযোগ। প্রৌঢ় মহিলা ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং প্রতিবেশী প্রবীরকে বকাবকি করেন প্রবীণ প্রতিশোধ নিতে মহিলাকে খুনের ঘটনার দিন রাত্রি আটটা নাগাদ টিভি দেখার নাম করে আঙ্গুরবালা কে ডেকে নিয়ে যায় তারপর থেকেই মহিলা প্রায় দুদিন নিখোঁজ হয়ে যায় ২৬ শে মার্চ স্থানীয় একটি জঙ্গল থেকে মহিলার কাদামাখা মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
তার নাকে মুখে কাদা শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে। ধরা পড়ার পর অভিযুক্ত গ্রামবাসীদের কাছে খুনের ঘটনার শিকার করে ওই ঘটনার পর জামিন পেয়ে যায় পরের ২০১৫ সাল নাগাদ ফের তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় তখন থেকেই সেই জেলই খাটছে।
No comments