বৃদ্ধ ভাইয়ের শোকে প্রান গেল বৃদ্ধা দিদির।মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকূড়ায়।ভাই পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক শিশির সরকার।গত ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের বিপ্লব রায় চৌধুরীকে পরাজিত করে জয়ী হয়ে …
বৃদ্ধ ভাইয়ের শোকে প্রান গেল বৃদ্ধা দিদির।মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকূড়ায়।
ভাই পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক শিশির সরকার।গত ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের বিপ্লব রায় চৌধুরীকে পরাজিত করে জয়ী হয়ে ছিলেন আজন্ম বাম নেতা শিশির বাবু ।তবে ১৯৯৬ সালে শিশির সরকারকে পরাজিত করে জয়ী হন কংগ্রেসের বিপ্লব রায় চৌধুরী।
দীর্ঘ দিন বার্ধ্যক জনিত কারনে অসুস্থ ছিলেন।বাড়িতেই চিকিৎস্যা চলছিলো। এর মধ্যেই শুক্রবার সকালে সাহাপুর গ্রামের নিজ বাসভবনে সকাল ছয়টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর।তাঁর প্রয়ানের খবরে কোলাঘাটে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এর মধ্যেই সন্ধ্যায় ফের শোকের ছায়া নেমে আসে ।কারন ভাইয়ের শোকে প্রয়াত হন প্রাক্তন বিধায়ক শিশির সরকারের দিদি মীরা দেবী ।বছর ৮০-র মীরা দেবী অবিবাহিত।সাহাপুরে ভাইয়ের কাছে থাকতেন।ভাই পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক শিশির সরকার এর থেকে তিনি তিনি বয়সে বড় হলেও সুস্থ্য ছিলেন।সামান্য হাঁতু-চোখের সমস্যা ছিলো।তবে তা কোন ভাবেই শিশির বাবুর মত নয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন ।
পরিবার সুত্রে জানা গেছে ভাই শিশির সরকারের প্রয়ানের খবর পাওয়ার পর থেকেই কেমন আনমনা ছিলেন মীরা দেবী ।কারো সাথে কোন কথা বলছিলেন না ।এর মধ্যেই সন্ধ্যায় নি:শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো মীরা দেবীর।পরিবারের লোকেদের নজরে ঘটনাটা আসার পরেই তাঁরা চিকিৎস্যার ব্যাবস্থা করেন ।তবে সামান্যক্ষনের মধ্যেই তাঁর প্রয়ান ঘটে।
অপরদিকে শিশির সরকারের প্রয়ানে শোক প্রকাশ করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের পক্ষ থেকে।দলের পক্ষ থেকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে শোক জ্ঞাপন করা হয় ।
No comments