Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্রেকিং নিউজ ঃ সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় উন্নয়নের দাবিতে গণবিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মানুষ

সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় আম্ফান ঘূর্ণিঝড় অভিযোগ তুলেছিলেন স্বজনপোষণের। সে কারণেই সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক স্থানীয় প্রধান নামে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় আম্ফান ঘূর্ণিঝড় এর ক্ষতি পূরণের তা…

 



সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় আম্ফান ঘূর্ণিঝড় অভিযোগ তুলেছিলেন স্বজনপোষণের। সে কারণেই সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক স্থানীয় প্রধান নামে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় আম্ফান ঘূর্ণিঝড় এর ক্ষতি পূরণের তালিকা যখন স্বজনপোষণের নাম উঠে আসছে। সারা জেলার মধ্যে কেবলমাত্র সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি সহ-সভাপতি তাপস কুমার মাইতি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে আটকে দিয়েছিলেন। পুনরায় আম্ফানে ঘূর্ণিঝড় এর ক্ষতি পূরণের মূল্যায়নের তালিকা তৈরি হয়। 

 করোনা ভাইরাসের প্রকোপ সাধারণমানুষ আতঙ্কিত সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী এবং লকডাউন এর মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কে নষ্ট করে দেওয়া যায় তার উদ্যোগ নিয়েছেন । 

আমফানের ক্ষতিপূরণ ও কারনা ভাইরাসের প্রকোপ দূর করতেই যখন সরকার সচেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছেন কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের অনেকটাই ভাটা পড়েছে।



দীর্ঘদিন সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন হয়নি। বিগত বৎসর  বামপন্থীদের দুর্জয় ঘাঁটি হিসেবে সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি ছিলেন। রাজ্যে মা মাটি মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও সুতাহাটা পঞ্চায়েত বামপন্থীদের দখলেই ছিল।গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মা মাটি মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি ।যদিও বামপন্থীদের দাবি উঠেছিল তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য কোন রকমের সহযোগিতা প্রশাসন করেননি ।তাই তারা নমিনেশন দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন। কয়েক বছর হল মা মাটি মানুষের সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ মা মাটি মানুষের সরকারের দ্বারাই পরিচালিত ।সেখানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় উন্নয়নের কাজ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলে এলাকার মানুষের দাবী। তাই আজ সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির এলাকা হোড়খালী অঞ্চলের প্রধান করবী কালসার  বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। তাদের দাবি কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছেন। শিল্প শহর হলদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় কংক্রিট ঢালাই রাস্তা হচ্ছে! সেখানে কেন তাদের এই এলাকা মাটির রাস্তায় চলতে হবে? তারা বলেন আমাদের  এলাকায় ঢালাই রাস্তা করতে হবে। 

ঢালাই রাস্তার দাবিতে ফতেপুর ৮৭ নং বুথের সাধারন মানুষের গন বিক্ষোভে সাধারণমানুষ।


দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে এলাকার মানুষ ঢালাই রাস্তার দাবি করে আসছে, 

দীর্ঘ দিন আবেদন করা সত্তেও ঢালাই রাস্তা হয়নি, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা ধরে হলদিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটির কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়। হলদিয়া শিল্প শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্গে সংযুক্তি করন এই রাস্তার উপর দিয়ে হোড়খালী অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের শিল্প কর্ম সংস্থানে আর্থিক উপার্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে,সেই সঙ্গে  

গৌরাঙ্গপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গৌরাঙ্গপুর শীতলা মন্দির,গৌরাঙ্গপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, ফতেপুর মসজিদ, ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর আল আমিন অনাথ ফাউন্ডেশান, তাজপুর শীতল মন্দির, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,ধর্মীয়,বেসরকারি সমাজিক প্রতিষ্ঠান নির্ভর শীল,গৌরাঙ্গপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের CHO Tanwisha Panda বলেন রাস্তার বেহাল অবস্থার ফলে গর্ভবতী মায়েদের চেক আপ, শিশু দের টিকা করন সেবা গ্রহণে যাতা আত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে,সাধারণ মানুষ সহ গর্ভ বতী মায়েরা  উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ভিষন অসুবিধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে কারন কোন ভ্যান চালক আসতে চাইছে না , স্থানীয় ANM ম্যাডাম অকপটে বলে ফেলেন আমারা দিদিকে বলো তো ও  ফোন করে জানিয়ে ছি, তা প্রশাসনের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই, গৃহ বধুরা  বলেন আমারা সরাসরি প্রধান ম্যাডাম কে জানাই তিনি কোন কর্ণ পাত করেনি, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সেক আবুল হাসান বলেন আমি ২০১৮ সাল থেকে জন প্রতিনিধি হয়েছি ,প্রতি নিধি হওয়ার আগে থেকেই ব্যাক্তিগত উদ্যেগে HDA তে জানিয়েছি, পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার পর ৪ নং হোড়খালী অঞ্চলের প্রধান করবী কালসা ম্যাডাম কে ও বারে বারে জানিয়ে ছি তিনি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না,দুই দিন আগে হোড়খালী অঞ্চলের উপ প্রধান সেক আতিয়ার রহমান কে ফোন করে রাস্তার দূরাবস্থার কথা জানাই,এমন কি  সুতাহাটা ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জয় সিকদার মহাশয় ও জেলা পরিষদের সদস্য আনন্দময় অধিকারীর  দৃষ্টি গোচরে দিয়েছি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তিনি জানিয়েছেন তার প্রতি লিপি দেখায়। দিদিকে বল কর্মসূচিতে অভিযোগ উঠে এসেছিলেন এই এলাকার উন্নয়নের দাবি নিয়ে।মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির  দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন গ্রামের সাধারণ মানুষের যে অভিযোগ তা সত্য, আমি শিকার করছি ।

No comments