স্থানীয়দের বাধার মুখে করণা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ পৃথক শ্মশান গড়তে উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। কোলাঘাট ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে আবার কভিড টাস্ক ফোর্স বানানো হয়েছে। এই ফোর্সের সদস্যরা এলাকায় গিয়ে করো না নিয়ে আমজনতাকে সচেত…
স্থানীয়দের বাধার মুখে করণা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ পৃথক শ্মশান গড়তে উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। কোলাঘাট ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে আবার কভিড টাস্ক ফোর্স বানানো হয়েছে। এই ফোর্সের সদস্যরা এলাকায় গিয়ে করো না নিয়ে আমজনতাকে সচেতন করছেন ।আর তাদের বোঝানোর ফল মিলেছে হাতেনাতে। কোলাঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক করোণা আক্রান্ত মৃতদেহ এলাকায় শ্মশানে দাহ করতে বাধা দিলেন না স্থানীয়রা।
ঐ পঞ্চায়েত এলাকায় বাড় বড়িশা গ্রামে এক বৃদ্ধ হাসপাতালে মারা যান। মৃতের পরিবার নিজেদের গ্রামের শ্মশানে দাহ করতে চেয়ে পঞ্চায়েতে দ্বারস্থ হয়।
ওই সময় কোলাঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের টাক্স ফোর্সের সদস্যরা শ্মশানে ধোয়া বাছাই থেকে করোনা ছড়ায় না এলাকার মানুষকে বোঝান। এর পরেই পিপি এবং উপযুক্ত সুরক্ষা বিধি মেনে দেহটি বড়মা হাসপাতাল থেকে এনে স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়।
করণা পরিস্থিতিতে কোলাঘাট ব্লক প্রশাসনের প্রতিটি গ্রামে পঞ্চায়েতে একটি করে কভিড টাক্স ফোর্সের গঠন করেছে।
প্রতিটি টিমে রয়েছে ২০ থেকে 25 জন সদস্য এদের কাজ মূলত নিজেদের এলাকায় সম্পর্কিত সচেতনতা প্রচার করা করোণা আক্রান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।
সম্প্রতি কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতিতে টাক্স ফোর্সের কর্মপদ্ধতি নিয়ে একটি সর্বদল বৈঠক হয় ।সেখানে সিদ্ধান্ত হয় করোণা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেলে।
মৃতের পরিবার নিজের এলাকায় দাহ করতে চাইলে সেই কাজে সম্পূর্ণ সাহায্য করবে ,শুধু তাই নয় করোণা উপসর্গ নিয়ে কেউ বাড়িতে মারা গেলে নিজের পরিবারের সদস্যরা চাইলেই সেই শ্মশানে দাহ করতে পারবে সেই দাহ করবেন ফোর্সের সদস্যরা।
কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি রাজ কুমার কুন্ডু বলেন আমরা বৃহস্পতিবারকোলাঘাট এক এলাকায় একজন কোভিদ আক্রান্তের দেহ করেছি টাক্স ফোর্সের সাহায্যে।
উপযুক্ত সুরক্ষা বিধি মেনে এই কাজ করা হয়েছে আমাদের টাক্স ফোর্সের সদস্যরা গ্রামে প্রচার শুরু করেছেন আশা করছি মানুষের মন থেকে এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করা যাবে।
No comments