এক সূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মন, এক প্রাণে সপিয়াছি সহস্র জীবন" আজ সম্প্রীতি ও সৌভাতৃত্বের মেলবন্ধন , রাখী বন্ধন উৎসব । ১৯০৫ সালে রাখী পূর্ণিমার দিন বঙ্গভঙ্গ এর প্রতিবাদে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু মুসলিম সৌভাতৃত্বের প্রত…
এক সূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মন, এক প্রাণে সপিয়াছি সহস্র জীবন"
আজ সম্প্রীতি ও সৌভাতৃত্বের মেলবন্ধন , রাখী বন্ধন উৎসব । ১৯০৫ সালে রাখী পূর্ণিমার দিন বঙ্গভঙ্গ এর প্রতিবাদে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু মুসলিম সৌভাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে পথচারীদের হাতে রাখি পড়িয়ে দিয়েছিলেন । সুতরাং অনেকদিন আগে থেকেই সৌভাতৃতের প্রতীক হিসেবে প্রচলিত হয়ে আসছে এই রাখি বন্ধন উৎসব।
এ বছর অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে রাখি বন্ধন উৎসব পালনের কর্মসূচী অন্যান্য বছরের ন্যায় সড়ম্বরে পালিত না হলেও আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব। এর মধ্যেই এক অনন্য উদ্যোগ চোখে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রান ব্লকে। দেশপ্রাণ ব্লকের বামুনিয়া তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আজ আলাদারপুট বাজারের ওপর রাখি বন্ধন উৎসব পালনের এক অপ্রতিম দৃশ্য দেখা যায়।
অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন দেশপ্রাণ ব্লকের সহ সভাপতি তরুণ কুমার জানা মহাশয়। এরপর পথ চলতি প্রায় হাজার জন মানুষকে রাখীর সাথে মাস্ক পড়িয়ে এই দিনটি উদযাপন করেন বামুনিয়া তৃণমূল গ্রাম পঞ্চয়েত এর নেতা কর্মীরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন - বামুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এর উপপ্রধান গৌতম শ্যামল, পঞ্চায়েত সদস্য কল্লোল পাল, অজিত গিরি , গৌতম গিরি এবং বামুনিয়া অঞ্চলের সদস্য - সদস্যা বৃন্দ।
তরুণ বাবু সকলকে রাখী বন্ধনের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,
" এই করোনা আবহের মধ্যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী র নির্দেশে খুব অল্প সংখ্যক মানুষজনকে নিয়ে শুধু বামুনিয়া অঞ্চলের আলাদার পুট নয়, পুরো দেশপ্রান ব্লক জুড়েই আমাদের এই মহতী মেলবন্ধনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। "
বামুনিয়া তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত এর এই উদ্যোগে খুশি পথ চলতি সাধারণ মানুষ। সর্বোপরি এই করোনা আবহে রাখীর সাথে মাস্ক বিতরণের এই অসামান্য প্রচেষ্টা সাফল্য মন্ডিত হয়ে ওঠে।
No comments