দেশপ্রাণ ব্লকের মগরা বেসিন এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। অামফান দুর্যোগ থেকেই মগরা খালের ও পার্শ্ববর্তী গ্রামে র জমাজল নিষ্কাশনের অভাবে ধান চাষের দফারফা অবস্থা চলছেই। গোদের উপর বিষফোঁড়া র মত নিম্নচাপের অতিবৃষ্টি…
দেশপ্রাণ ব্লকের মগরা বেসিন এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। অামফান দুর্যোগ থেকেই মগরা খালের ও পার্শ্ববর্তী গ্রামে র জমাজল নিষ্কাশনের অভাবে ধান চাষের দফারফা অবস্থা চলছেই। গোদের উপর বিষফোঁড়া র মত নিম্নচাপের অতিবৃষ্টি তে মগরা খালের জল নিষ্কাশনের অভাবে উপচে পড়েছে।ধানজমি র জমাজলে ধান গাছ প্রায় জলের তলায়। জোয়ারের জল ঢুকলেই প্লাবনের পরিস্থিতি রোখা সম্ভব নয়।মগরা খালের উপর বাঁধের অবরোধ করে কামারবেড়িয়া- কশাফলিয়া(অামিরাবাদ) কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছিল।সেচ দপ্তরের খালে জেলা পরিষদের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার অাওতায় কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের কাজ মাঝপথেই বন্ধ হয়ে অাছে। অামফান দুর্যোগে র জমাজল নিষ্কাশনের জন্য মগরাখালের অবরোধের দুদিকেই সামান্য কেটে দেওয়ায় ধীরে ধীরে জল কমছিল। জমাজলে ধানতলা তৈরী ও ধানচারা রোপণ কৃষকের কাছে ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য হয়।এখন অাবার নিম্নচাপের অতিবৃষ্টি তে মগরা খালের টইটম্বুর অবস্থা। রোপণ করা ধানক্ষেত জমা জলে প্রায় নিমজ্জিত। ব্রিজের কাজ যখন বন্ধ তখন মগরা খালের উপর বাঁধের অবরোধ পুরোপুরি অপসারিত করলেই হাজার হাজার একর জমিতে রোপণ করা ধানক্ষেত বেঁচে যেত।সেচ দপ্তর ও জেলা পরিষদ একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত।পঞ্চায়েতের কোন হেলদোল নেই। অগত্যা সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন দেশপ্রাণ ব্লকের বিডিও কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে অবিলম্বে কামারবেড়িয়া- কশাফলিয়া (অামিরাবাদ) ব্রিজের জন্য নির্মিত মগরাখালের উপর দু'দিকে র অবরোধ অপসারণের অাবেদন জানিয়েছেন। সেই সাথে জেলা পরিষদের নির্বাহী অাধিকারিক তথা জেলাশাসক কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে মগরা বেসিন এলাকার হাজার হাজার বিপন্ন কৃষক কে রক্ষা করার অাবেদন জানিয়েছেন সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন। স্হানীয় অধিবাসী মামুদ হোসেন বলেন একটা ব্রিজ নির্মাণ করতে কত সময় লাগে তা বুঝে উঠা মুস্কিল। জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের মগরা বেসিন এলাকার মানুষজনকে রক্ষা করতে কোন গরজ নেই। এটা অত্যন্ত বেদনার বলে উল্লেখ করেন মামুদ হোসেন।
No comments