পাঁশকুড়া ব্লকের গোবিন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর মৌজায়(জে এল নং ১১০) প্রধানমন্ত্রীর গ্রামসড়ক যোজনার পাকারাস্তার পশ্চিম পাশে আছে ঝাড়েশ্বরজিউ ও রামেশ্বরজিউ শিবের জোড়ামন্দির। সেকালে এই গ্রামের জমিদার ছিলেন সামন্ত পরিবার। জমিদ…
পাঁশকুড়া ব্লকের গোবিন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর মৌজায়(জে এল নং ১১০) প্রধানমন্ত্রীর গ্রামসড়ক যোজনার পাকারাস্তার পশ্চিম পাশে আছে ঝাড়েশ্বরজিউ ও রামেশ্বরজিউ শিবের জোড়ামন্দির। সেকালে এই গ্রামের জমিদার ছিলেন সামন্ত পরিবার। জমিদার দুই ভাই অর্জুন সামন্ত ও যুগলকিশোর সামন্ত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঝাড়েশ্বরজিউ ও রামেশ্বরজিউ শিবের পশ্চিমমুখী শিখররীতির জোড়ামন্দির। স্থাপত্য ও ভাস্কর্যমণ্ডিত অনুপম এই জোড়ামন্দির পাঁশকুড়ার এক বিরল পুরাকীর্তি। সম্প্রতি স্থানীয় অর্থানুকূল্যে দেওয়ালের টেরাকোটাগুলিকে অক্ষুন্ন রেখে দুটি মন্দিরকে সংস্কার করা হয়েছে। মন্দিরদুটির দেওয়ালে সন্নিবেশিত উল্লেখযোগ্য টেরাকোটাগুলি হল বাউল সন্ন্যাসী বেহালা বাদনরতা মহিলা লোলচর্মা বৃদ্ধা নারীর কেশচর্চা শিবলিঙ্গ পূজা ও কয়েকটি মিথুনের দৃশ্য। দুটি মন্দিরের গায়ে এরকম কয়েকটি অশ্লীল টেরাকোটা থাকায় এলাকাবাসীরা মন্দিরদুটিকে খচ্চর (কচড়া) মন্দিরও বলে থাকেন। এই জমিদার বংশের একজন উল্লেখযোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন পাঁশকুড়া ব্রাডলিব্রার্ড হাই স্কুলের অকালপ্রয়াত প্রধান শিক্ষক বনমালী সামন্ত মহাশয়।দূরদূরান্ত থেকে অনেকে মন্দিরদুটির টেরাকোটাগুলিকে দর্শনের জন্য রাজনগরে আসেন।তবে লকডাউনের কারনে দেখা মিলছে না দর্শনার্থীদের।
No comments