করোনা যোদ্ধাদের সম্মানের কথা কি কেবল কথার কথা? বিজ্ঞাপনী চমক? প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলে বারবার বলার পরেও প্রশাসনিক উদাসীনতা তো সে প্রশ্নই সামনে আনছে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের ঘটনা।
অলোক শী। কনসালট্যান্ট সার্জেন। প্র…
করোনা যোদ্ধাদের সম্মানের কথা কি কেবল কথার কথা? বিজ্ঞাপনী চমক? প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলে বারবার বলার পরেও প্রশাসনিক উদাসীনতা তো সে প্রশ্নই সামনে আনছে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের ঘটনা।
অলোক শী। কনসালট্যান্ট সার্জেন। প্রাইভেটে এতো রোগীর চাপ যে তমলুক হাসপাতালে আর সময় দিতে না পেরে বছর খানেক আগে কাজ ছেড়েছেন। থাকেন জেলাশাসকের দফতরের পাশেই। গুজবে দিন দশেক ধরে তিনিই নিজের বাড়িতে কোণঠাসা। করোনা হয়েছে এই গুজবের ঠেলায় বাড়ির পরিচারিকা থেকেগৃহ শিক্ষক, গাড়ির ড্রাইভার সকলেই আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁর মেয়ের সামনেই পরীক্ষা, মাস্টার মশাইরা আসা বন্ধ করে দেওয়া সমস্যা তীব্রতর হয়েছে। ডাক্তারবাবুর কথায়, এ তো দেখছি করোনার চেয়ে গুজবের সংক্রমণ ছড়ায় সব থেকে বেশি গতিতে!https://youtu.be/RDllBQFCpXE
সবচেয়ে অবাক করছে প্রশাসনিক উদাসীনতা। ডাক্তারদের নিয়ে গুজব অনেক সময় ঈর্ষায় চক্রান্ত করেও রটানো হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আকছার তা হয়। তবে বর্তমানে তো রাজ্যে মহামারী আইন লাগু রয়েছে। করোনা যুদ্ধে ফ্রন্টলাইনে থাকা যোদ্ধাদের যেখানে রাজ্য সরকার সংবর্ধনা দেয়, সেখানে অলোকবাবুর মতো অবস্থা দেখেও প্রশাসনিক উদাসীনতা চরম লজ্জার।
No comments