Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রুপোলি ইলিশের, দেখা মিলল না হতাশায় মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিক

চলতি মরশুমের প্রথমে দিঘায় মৎস্যজীবীদের থেকে মুখ ফিরিয়েছে ইলিশ। দু’মাসের ব্যান পিরিয়ড সহ লকডাউনের ১০১দিন কাটিয়ে আনলক-২ পর্বে গত পয়লা জুলাই সমুদ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন মৎস্যজীবীরা। ধাপে ধাপে দেড় হাজারের বেশি লঞ্চ-ট্রলার সমুদ্রে মাছ …




চলতি মরশুমের প্রথমে দিঘায় মৎস্যজীবীদের থেকে মুখ ফিরিয়েছে ইলিশ। দু’মাসের ব্যান পিরিয়ড সহ লকডাউনের ১০১দিন কাটিয়ে আনলক-২ পর্বে গত পয়লা জুলাই সমুদ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন মৎস্যজীবীরা। ধাপে ধাপে দেড় হাজারের বেশি লঞ্চ-ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমেছে। তবে মৎস্যজীবীরা আশা করেছিলেন এবার পর্যাপ্ত ইলিশ উঠবে। কিন্তু তা না হওয়ায় হতাশ ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবীরা। মাছ ধরতে যাওয়া প্রথম দফার অধিকাংশ ট্রলার ফিরে এলেও কার্যত দেখা নেই রুপোলি শস্যের। ফলে বাজারে চাহিদা থাকলেও জোগানে টান পড়ায় ইলিশ এখন মহার্ঘ।
সমুদ্র থেকে দিঘায় ফিরেছে অধিকাংশ ট্রলার। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ টন সামুদ্রিক মাছ নিয়ে এসেছে ট্রলারগুলি। যার মধ্যে ইলিশ রয়েছে মাত্র ৫০ কিলোগ্রাম। মৎস্যজীবীদের দাবি, গত বছর মরসুমের শুরুতে ইলিশের এই পরিমাণটা ছিল প্রায় দেড় টন। সেই অর্থে এটা ইলিশের সঙ্কটই বলা যায়। পরিমাণ কমার পাশাপাশি, আকারেও এবার ইলিশ হতাশ করেছে মৎস্যজীবীদের। এবার দিঘায় ওঠা ইলিশের গড় সাইজ ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। এক কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ কার্যত অদৃশ্য। তবে ইলিশের এই ঘাটতি কিছুটা পূরণ করেছে পমফ্রেট ও সামুদ্রিক বাউল।প্রত্যেকটি ট্রলারের জালে আশানুরূপ ইলিশ না উঠলেও পমফ্রেট ও সামুদ্রিক বাউল ভালই উঠেছে।

দীঘা মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠনের অন্যতম ডিরেক্টর নবকুমার পয়ড়‍্যা বলেন, ‘এখনও পূবালী হাওয়া ও ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির দেখা নেই। তার উপর চড়া রোদ ও প্রচণ্ড গরম। সমুদ্রে ইলিশের উপযুক্ত পরিবেশ এখনও নেই। তাই ইলিশের দেখা মিলছে না। বৃষ্টি নামলেই ফের আগের মতো ইলিশ মিলতে পারে।’ 

স্থানীয় এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘ইলিশের সংখ্যা এতই কম যে, সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফিরে আসার খরচ উঠবে না। এ বছর ডিজেলের দাম আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় ভাল পরিমাণে পমফ্রেট ওঠায় কোনও রকমে বেঁচে গেলাম।’
এই অবস্থায় ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবী সকলেই তাকিয়ে বৃষ্টির দিকে। তাদের আশা বৃষ্টি নামলে ইলিশের জোয়ার আসবে দিঘায়। আপাতত সেই দিকে তাকিয়ে ইলিশ প্রিয় বাঙালিও। বঙ্গে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। এবার অপেক্ষে কবে বাঙালির পাতে ইলিশ আসবে।

ট্রলার মালিক গিরিশ রাউত জানান, দু’মাসের ব্যান পিরিয়ড সহ লকডাউনের ১০১দিন কাটিয়ে আনলক-২ পর্বে গত পয়লা জুলাই সমুদ্রযাত্রা শুরু হলেও গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের জালে এখন মাত্র ৫-১০টা করে ইলিশ ধরা পড়ছে। এক-একবার ট্রলার সমুদ্রে নামাতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। ইলিশের চাহিদা ভালো থাকায় বিক্রি নিয়ে ভাবতে হয় না। তাই জালে ইলিশ উঠলে হাতে দু’টো পয়সা আসে। অন্যান্য মাছ উঠলেও আমরা তাই এখনও ইলিশের দিকেই তাকিয়ে আছি। 


No comments