সারাদেশ আতঙ্কে করোনা ভাইরাসের জন্য। লকডাউনের জন্য কোন উপার্জন না থাকায়। আত্মহত্যা পথ বেছে নিলেন কালান্তরের সাংবাদিক পিজুস কান্তি ঘোষ।বাবা,মা,স্ত্রী,ছেলেকে নিয়ে সুখের সংসার।কিন্তু হঠাৎ করেই জ্বালা খেয়ে মারা গেলেন।জানা যায় গত শ…
সারাদেশ আতঙ্কে করোনা ভাইরাসের জন্য। লকডাউনের জন্য কোন উপার্জন না থাকায়। আত্মহত্যা পথ বেছে নিলেন কালান্তরের সাংবাদিক পিজুস কান্তি ঘোষ।বাবা,মা,স্ত্রী,ছেলেকে নিয়ে সুখের সংসার।কিন্তু হঠাৎ করেই জ্বালা খেয়ে মারা গেলেন।জানা যায় গত শনিবার সকালে পরিবারিক অশান্তি হয়। অশান্তির কারনে ঔষধ খান পিজুষ বাবু।সাথে সাথেই তাকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কিন্তু অবস্থার অবনতি হতেই ডাক্তারবাবু তাকে তমলুকে নিয়ে যেতে বলেন।সাথে সাথেই তাকে তমলুকের সেবা সদন নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।প্রায় ৭২ ঘন্টা চিকিৎসার পর দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
পরিবার তরফে জানা যায়- সাংবাদিকতা কাজ করতেন ও BSNL এর কাজ করতেন।বেষ কয়েক মাস কোনো অর্থ পাচ্ছিলেন না।মা আই. সি. ডি. এস এর কাজ করতেন।মা সংসার চালাতে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করতেন।কিন্তু শনিবার অর্থ নিয়েই সাথে ঝামেলা হয়। তার পরেই এমন পথ বেছে নেবে কেউ ভাবতে পারেনি।
সিপি আই নেতা চিত্তরঞ্জন দাসঠাকুর জানান- "কোনোদিন কোনো সমস্যার কথা আমাদের বলেননি এক সাথে অনেক জায়গা গিয়েছি সময় কাটিয়েছি কোনোদিন ভাবিনি এইরকম পথ বেছে নেবেন।উনি আমাদের হাউরের সি.পি.আই জেলা কমিটির সদস্য।আমরা এক তরুন যোদ্ধাকে হারালাম।"
পিজুস বাবুর মৃতদেহ আসার সাথে সাথেই গোটা এলাকা ও সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
No comments