আমপানের ক্ষতিপূরণ না পাওয়া এবং তা নিয়ে শাসক দলের স্বজনপোষণ ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে।এমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম, কাঁথি, মহিষাদল, চণ্ডীপুর, খেজুরি, পটাশপুর, ভগবানপুর, তমলুক, কোলাঘ…
আমপানের ক্ষতিপূরণ না পাওয়া এবং তা নিয়ে শাসক দলের স্বজনপোষণ ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে।এমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম, কাঁথি, মহিষাদল, চণ্ডীপুর, খেজুরি, পটাশপুর, ভগবানপুর, তমলুক, কোলাঘাট, হলদিয়া, পাঁশকুঁড়া, রামনগরের পর এবার আমপানের ক্ষতিপূরণ না পাওয়া ও শাসকদল তথা তৃণমূলের স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠলো এগরায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত এগরা-১ ব্লকের পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক দুর্ণীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল বৃহস্পতিবার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দলের পদাধিকারীদের আশেপাশের ও ঘনিষ্ঠ লোকজনই ক্ষতিপূরণের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। যাঁরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের কপালে ক্ষতিপূরণ জোটেনি। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য- সদস্যা, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, দলের অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতির ঘনিষ্ঠরাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কিন্তু ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত গরিব মানুষ।
পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রবীন্দ্রনাথ সোম বলেন, "যখন প্রথম সরকারি নির্দেশিকা এসেছিল তখনও পর্যন্ত কারা পাবে সেরকম কোনও কথা বলা হয়নি। পরবর্তীকালে দলের নির্দেশে পরিবর্তন করতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩৯ এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৩৭ জন মিলিয়ে মোট ১৭৬ জনের নাম তালিকায় উঠেছে। বেশ কয়েকজন বাদ দিয়ে সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।" কিন্তু প্রশ্ন! শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের কি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, "এখনও টাকা ফেরত দিতে বলিনি। তবে আমরা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখছি।
এগরা-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিজনবিহারী সাউ বলেন, "বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে দলীয় ভাবে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। দলের পক্ষ থেকে টাকা ফেরত দিতে বলা হবে। আমি জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।" পুরো বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, "শুধু এগরাতে নয়, গোটা জেলাতেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বহু মানুষ যাঁরা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য নন, তাঁরা তা পেয়েছেন। যাঁরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের নাম আর তালিকায় ওঠেনি। কাটমাণি নিয়ে তৃণমূল নেতারা নিজেদের ঘনিষ্ঠদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন।
এবিষয়ে জেলা সিপিএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন, "জেলার সর্বত্র আমপানে স্বজনপোষণ ও ভুরি ভুরি দূর্নীতির অভিযোগ উঠছে। কাউকে দল থেকে শো- কজ করলে কি হবে? তৃণমূল যে দূর্নীতি করেছে তা প্রমাণিত। এটা কেবলমাত্র তৃণমূলের আইওয়াশ। আগামী ২০২১ এর নির্বাচনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।" এগরার মহকুমাশাসক অপ্রতীম ঘোষ বলেন, "নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ করা হবে।"
No comments