রাস্তা বেহাল, প্রতিবাদে গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ১ব্লকের মহম্মদপুর ২ পঞ্চায়েতের  এলাকার বাসিন্দারা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে সরব হন।
জানা গিয়েছে,গোয়ালাপুকুর বাজার থেকে শিলাখালী পর্যন্ত দীর্ঘ …

 রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ১ব্লকের মহম্মদপুর ২ পঞ্চায়েতের  এলাকার বাসিন্দারা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে সরব হন।
জানা গিয়েছে,গোয়ালাপুকুর বাজার থেকে শিলাখালী পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে ওই রাস্তায়। দীর্ঘ প্রায় ৫বছর ধরে রাস্তা বেহাল থাকার কারণে ৫টি গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তা সংস্কারের জোরালো দাবি তুলেছেন। রাস্তা বেহাল হওয়ায় বর্ষার শুরুতেই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী একাধিক রুটের ট্রেকার ও টোটো পরিষেবা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,একাধিকবার ভোটের আগে জনপ্রতিনিধিরা এই রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দিলেও তাতে কোনও রকম কাজ হয়নি। বর্তমানে রাস্তার হাল এতটাই খারাপ যে, পায়ে হেঁটে যাওয়ার উপায় নেই, কোথাও আবার বৃষ্টির জমা জল বইছে রাস্তার উপর দিয়ে। আর এভাবেই বছরের পর বছর খানাখন্দে ভরা এই পথ দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন আট থেকে আশি সকলেই। তাছাড়া ওই এলাকার ইটভাটার গাড়িগুলি যাওয়ায় রাস্তার অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়ছে। ফলে রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। পাঁচটি গ্রামের পড়ুয়াদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতের ক্ষেত্রে একমাত্র এই রাস্তার উপর নির্ভর করতে হয়।মহম্মদপুর এলাকা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভগবানপুর গ্ৰামীন হাসপাতাল।মাঝরাতে চিকিৎসা করাতে কিংবা গর্ভবতী মায়েদের এই পথ দিয়ে হাসপাতলে পৌঁছতে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠে । রাস্তা খারাপের কারণে ছোট চার চাকার গাড়িও এই পথে আসতে চায় না।তবে এবিষয়ে ভগবানপুর ১ ব্লকের বিডিও কে বারবার জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় ওই গ্ৰামের বাসিন্দাদের।

মহম্মদপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান মঞ্জু সাউ বলেন, রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল এটা আমাদের নজরে রয়েছে।তাছাড়া নদীর পাড় বাঁধানো জন্য সেচ দপ্তর থেকে নিজেরা দায়িত্ব করে ওই রাস্তার করছিলেন।যেহেতু ওই রাস্তা PWD দপ্তরের আওতায় নেই, সে জন্য আমরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মোরাম দিয়ে ওই রাস্তা মেরামত করেছিলাম।কিন ওই ইটভাটার গাড়িগুলি চলাচলের কারনে ওই রাস্তা আরও বেহাল হয়ে পড়ে।তাছাড়া এই রাস্তা তৈরির জন্য PWD দপ্তরে একটি চিঠি পাঠিয়েছি পাশাপাশি জেলা পরিষদের সভাধিপতি'কেও এবিষয়ে জানানো হয়।সেই মত জেলা পরিষদের সভাধিপতি এই রাস্তা মেরামতের জন্য আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে  খুব শ্রীঘ্রই PWD আওতায় এনে এই রাস্তা মেরামত করা হবে।