শব্দবাজি তৈরি ও বিক্রি বন্ধে রাজ্যের পাশাপাশি সারা জেলা জুড়েই শুরু হয়েছে পুলিশি ধরপাকড়। বস্তা বস্তা শব্দবাজি আটকও হচ্ছে। কিন্তু আদৌ লাগাম দেওয়াা যাচ্ছে কি বেআইনি শব্দবাজি বিক্রিতে?
তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ধরপাকড়ের পাশাপা…
শব্দবাজি তৈরি ও বিক্রি বন্ধে রাজ্যের পাশাপাশি সারা জেলা জুড়েই শুরু হয়েছে পুলিশি ধরপাকড়। বস্তা বস্তা শব্দবাজি আটকও হচ্ছে। কিন্তু আদৌ লাগাম দেওয়াা যাচ্ছে কি বেআইনি শব্দবাজি বিক্রিতে?
তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ধরপাকড়ের পাশাপাশি প্রত্যেকটি মহকুমায় চলছে পুলিশের অভিযান।আর সেই অবৈধ শব্দবাজি'র বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য পেল এগরা থানার পুলিশ।শনিবার ভোর সকালে একটি এলাকায় এগরা মহকুমা পুলিশ ও এগরা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে অবৈধ শব্দবাজি।শব্দবাজির মশলা এবং বেআইনি বোম তৈরি করার দায়ে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বিনা লাইসেন্সে বাড়ি থেকেই চকলেট বোমা-সহ বেশ কিছু শব্দবাজি বিক্রি করত ওই ব্যক্তি। উদ্ধার হওয়া প্রায় কয়েকশো কেজি বাজি এই বাড়িতেই মজুত ছিল।এরপর পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এদিন সকালে নাগাদ এগরা থানার গেঁংটাপুকুরের পুরুন্দা গ্ৰাম থেকে লক্ষীনারায়ণ জানা নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।পাশাপাশি কয়েক কিলোগ্রাম শব্দবাজির মশলা এবং বেআইনি বোম বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।এরপর শনিবার ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারপতি ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সেক বৈদুজ্জামান আহমেদ বলেন“অভিযান চালিয়ে বাজি-সহ বিক্রেতাদের আটক করা হয়।তবে যেখানে যেখানে এই সমস্ত বেআইনি বাজি কারখানা আছে৷ সেখানে হানা দিয়ে অবৈধ বাজি কারখানাগুলো বন্ধ করাই হবে"।
গোপন সূত্রে খবর,এগরা মহকুমার এরেন্দা,বালিঘাই,নেগুয়া,পানিপারুল,খড়াই, নৈপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১০-১৫টি এলাকায় বাজি তৈরি হয়।অভিযোগ, প্রতি বছর ওই এলাকাগুলিতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরি হয়। এক মাস আগে থেকে বাজি তৈরির পরিমাণ বাড়ে। লক্ষীপুজোর পর থেকেই বস্তা বস্তা বাজি পাইকারি দরে কিনে নিয়ে যান প্রত্যন্ত গঞ্জের ব্যবসায়ীরা।
No comments