পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার দূর্গারোড এলাকায় সোমবার সকালে চাষের জমিতে বসানো ঘুনি থেকে উদ্ধার হল বিশালাকৃতির "মনোক্লেড কোবরা" সাপ। জানা গিয়েছে,এদিন চাষের জমিতে বসানো ঘুনিতে আটকে পড়ে বিশালাকৃতির "মনোক্লেড ক…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার দূর্গারোড এলাকায় সোমবার সকালে চাষের জমিতে বসানো ঘুনি থেকে উদ্ধার হল বিশালাকৃতির "মনোক্লেড কোবরা" সাপ। জানা গিয়েছে,এদিন চাষের জমিতে বসানো ঘুনিতে আটকে পড়ে বিশালাকৃতির "মনোক্লেড কোবরা" সাপটি।এরপর মাছের ঘুনিতে ওঠাতে গিয়ে সাপটিকে দেখতে পায় এক চাষী।এরপর ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।তারপর এগরা বনদফতরে কর্মীরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।তবে এই সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ ফুট বলে জানা যাচ্ছে।
অপরদিকে এদিন এগরা থানার তেঁতুলিয়া ষডরং এলাকার বাসিন্দা শম্ভু মাইতি নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ৪ফুট লম্বা প্রায় একটি বিষাক্ত" চন্দ্রবোড়া সাপ"।স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির বাড়িতে থাকা জ্বালালির ভিতরে আটকে ছিল সাপটি।এরপর জ্বালানি গুলো গোছাতে গিয়ে সাপটিকে দেখতে পায় ওই পরিবারের এক সদস্য।এই ঘটনার পর এগরা বন দফতরে খবর দেওয়া হলে বনদফতরের কর্মীরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,চন্দ্রবোড়া ও মনোক্লেড কোবরা সাপ গুলি অনেক বিষধর। এগুলো কামড় বসালে বিষ খুব দ্রুত রক্তে ছড়িয়ে পড়ে,তাছাড়া হৃৎপিণ্ড অল্প সময়ে অকার্যকর হয়ে পড়ে। সাপটি জলে-স্থলে উভয় জায়গাতেই বাস করে। এর প্রধান খাবার ব্যাঙ, কাঁকড়া, মাছ। আবার স্থলে এরা হাঁস-মুরগি, ইঁদুর পেলে খেয়ে ফেলে। সাপটির রঙ ধূসর। শরীরে কালো ছোপ ছোপ দাগ। এর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে−চন্দ্রবোড়া ডিম দেয় না, বাচ্চা প্রসব করে। এক সঙ্গে ৬২-৬৩টি বাচ্চা দিয়ে থাকে।’তবে এই ধরনের বিষধর সাপ প্রথমবার উদ্ধার হয় নি।এর আগেও এই সব এলাকায় থেকে শাঁখামুটী, শঙ্খচূড় সহ বিভিন্ন ধরনের সাপ উদ্ধার হয়েছে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মনোক্লেড কোবরা,চন্দ্রবোড়া ও শঙ্খচূড় সাপ মূলত জলাশয়ের কাছাকাছি বা স্যাঁতসেঁতে, জঙ্গল এলাকাকে নিরাপদ হিসাবে বেছে নিতে চায়।তবে তাদের মেরে না ফেলে উদ্ধারের জন্য বন দফতরে খবর দেওয়া উচিত।
No comments