Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্রেকিং নিউজঃ মহিষাদলে করোনা ১০,বাড়ল কন্টেইনমেন্ট এলাকা বাজার বন্ধ চলছে পুলিশের অভিযান

পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে করোনার প্রকোপ বাড়তেই শহর ও গ্রামীণ এলাকায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন শুরু হয়েছে। জেলা সদর শহর তমলুক সহ কাঁথি ও এগরা পুরসভায় অফিস, আদালত, ব্যাঙ্ক, বাজারহাট বন্ধ করা হচ্ছে। শনিবার এগরার তৃণমূল বিধায়ক…




 পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে করোনার প্রকোপ বাড়তেই শহর ও গ্রামীণ এলাকায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন শুরু হয়েছে। জেলা সদর শহর তমলুক সহ কাঁথি ও এগরা পুরসভায় অফিস, আদালত, ব্যাঙ্ক, বাজারহাট বন্ধ করা হচ্ছে। শনিবার এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদিকে জেলাশাসকের অফিসের এক কর্মীর করোনা সংক্রমণের খবর মিলতেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কর্মী মহলে। ইতিমধ্যেই জেলা পরিবহণ দপ্তরে  করোনা ধরা পড়ার পর জেলাশাসকের দপ্তরে সাধারণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মূল দরজা গুলি বন্ধ রাখা হচ্ছে।
শনিবার জেলায় ৩২জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এরমধ্যে মহিষাদল ব্লকের ১০জন রয়েছেন। বাকিরা ময়না, তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি, সুতাহাটা এলাকার। জেলায় এখন পর্যন্ত ৭৬৫জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৪৫৩জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। এদিন করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তমলুকের নামী ক্যুইজমাস্টার শিক্ষক মৌসম মজুমদার। এদিন মৌসমবাবুর মতো পাঁশকুড়ার বড়মা কোভিড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ১৫জন।
করোনার প্রকোপ দিন দিন বাড়তে থাকায়  মহিষাদল ব্লক প্রশাসন সমস্ত গ্রামীঙ হাট ও বাজার আংশিক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার থেকে ৩১জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ ১৩দিন ধরে এই লকডাউন চলবে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বাজার খোলা থাকবে। বিকেলে কোনও বাজার চালু থাকবে মা। প্রতি বৃহস্পতিবার  সব বাজার পুরো বন্ধ থাকবে। নিয়ম কড়াভাবে বলবৎ করার জন্য পুলিস অভিযান চালাবে। ইতিমধ্যেই নন্দকুমার, তমলুক গ্রামীণ এলাকার সব বাজার বন্ধ করা হয়েছে। একইভাবে কড়া লকডাউন চলছে কাঁথি শহরেও।
তবে করোনার নিয়মবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলদিয়া শিল্পশহর। জেলার সমস্ত পুরসভা কর্তৃপক্ষ করোনা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করলেও হলদিয়ার প্রশাসনিক শিথিলতার ফলে করোনাবিধি শিকেয় উঠেছে। পুরসভা ও পুলিস কার্যত নির্বিকার বলে অভিযোগ। একশ্রেণীর মানুষ নিয়মের তোয়াক্কা না করে মাস্ক ছাড়াই বাজারহাটে ঘুরছে। শাসক বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলই করোনা আবহেও ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য জমায়েত করছে শহরে। তৃণমূল ২১জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা বা থানা চত্বরে বিজেপির বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হলদিয়ায় গত ১৬-১৭দিনে ৪৫জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও পুরসভা,  পুলিস বা একশ্রেণীর অবিবেচক মানুষের ভূমিকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শহরের মানুষজন। পুরসভার ১৬টি এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা হয়েছে। ৪-৫টি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি সব ওয়ার্ডেই করোনা সংক্রমণ হয়েছে। বেশ কয়েকজন করোনা রোগীর সংক্রমণের উৎস না মেলায় হলদিয়ায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টাউনশিপের মাখনবাবুর বাজার শনিবার থেকে ২৪জুলাই পর্যন্ত বাজার বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে পুর কর্তৃপক্ষ এখনও সামগ্রিক কোনও লকডাউন ঘোষণা করেনি তমলুকের মতো। জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান না থাকায় কোনও মিটিং হয়নি। চারটি থানার পুলিস আধিকারিকরা এবিষয়ে নির্বিকার।

No comments