Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

করোনার ভয়ে মৃতদেহ পড়ে রইল কুড়ি ঘন্টা অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পড়ানো হবে অন্যত্র

২০ ঘন্টা ধরে পড়ে থাকল মৃতদেহ ! করোনার ভয়ে এলাকার মানুষ দাহ করতে দিল না শ্মশানে, অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পড়ানো হবে অন্যত্র



সোমবার বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারীর মরদেহ পিপিই কিট দিয়ে ঢেকে শ্মশানে দাহ করতে গিয়ে করোণা আতংক …

২০ ঘন্টা ধরে পড়ে থাকল মৃতদেহ ! করোনার ভয়ে এলাকার মানুষ দাহ করতে দিল না শ্মশানে, অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পড়ানো হবে অন্যত্র



সোমবার বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারীর মরদেহ পিপিই কিট দিয়ে ঢেকে শ্মশানে দাহ করতে গিয়ে করোণা আতংক ছড়াল হলদিয়া টাউনশিপ এলাকা। করোনার ভয় মৃতদেহ দাও করতে বাধা দেয় টাউনশিপ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর মৃত বন্দর কর্মীর নাম সল্লভ মন্ডল (৬৪)। তিনি ব্রজনাথ চক এলাকার বাসিন্দা । রবিবার তিনি বন্দর হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান। রাতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় তাকে সাড়ে এগারোটা নাগাদ বন্দর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত বারোটা নাগাদ হৃদরোগে  আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা সেই মত ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেন।

 এদিন দুপুর নাগাদ টাউনশিপ সংলগ্ন পৌরসভার পড়িয়া চক শ্মশানে বন্দর কর্মীর দেহ নিয়ে যেতেই নিয়ে যেতেই বিপত্তি বাধে। করোনা পরিস্থিতির জন্য সততা হিসেবে হাসপাতাল থেকে মরদেহ পিপিই কিট  মুড়ে পরিবারের হাতে দেওয়া হয়। আত্মীয়-স্বজনরা সতর্কতার জন্য অনেকেই পিপিই কিটে নিজেদের ঢেকে শ্মশানে যান।
 হলদিয়া পৌরসভা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পড়িয়া চক শ্মশান এলাকার বাসিন্দারা পি পিই কিট দেখে করোনারি সন্দেহ করেন। তারা মৃতের আত্মীয়-স্বজনদের ঘেরাও করে রাখেন।
 ডেথ সার্টিফিকেট হার্ট অ্যাটাক মৃত দেখানোর পরও স্থানীয় বাসিন্দারা শ্মশানে পোড়াতে দেওয়া যাবে না এই দাবি অনড় থাকেন ।
পরিবারের লোকজন স্থানীয় কাউন্সিলর দীপক পন্ডা ও হলদিয়া থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ গিয়ে বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টায় ফলপ্রসূ হয়নি।
 মৃতদেহ নিয়ে টানা ৬ ঘন্টা টানপোড়েনের ফলে পরিবারের লোকজন মুষড়ে পড়েন।
 হলদিয়া থানা আইসি কুদরত-ই-খোদা  বলেন । স্থানীয়রা দাহ করতে না দেওয়ায়।
 মৃতদেহ সন্ধ্যে নাগাদ শ্মশান থেকে টাউনশিপ পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। পুলিশের উদ্যোগে অন্য কোন ও শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করা হবে।

No comments