ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে রোগের প্রকোপ বাড়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে ঘরে ফিরেছেন বাংলার প্রায় ৪০০ পরিযায়…
ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে রোগের প্রকোপ বাড়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে ঘরে ফিরেছেন বাংলার প্রায় ৪০০ পরিযায়ী শ্রমিক। আর তার পরেই উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর আগে একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল বিহার, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে, যেখান থেকে বেশি সংখ্যক শ্রমিক কর্মসূত্রে কর্নাটক, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও পঞ্জাবের মতো বর্ধিষ্ণু রাজ্যগুলিতে রোজগারের কারণে পাড়ি দিয়েছিলেন।কিন্তু বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে চীনের করোনা ভাইরাস।তাই সংক্রমণ ঠেকাতে হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা হতেই একের পর বাড়ি ফিরতে চলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।আর তার পরেই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
এমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের আমদেই ও নরহরিপুর এলাকায় ৫ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল সোমবার। এর আগে এই জেলার বিভিন্ন জায়গায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়লেও তালিকা থেকে এতদিন বাদ ছিল আমদেই ও নরহরিপুর। পাশাপাশি,এদিন পটাশপুর ১ ব্লকের জয়কৃষ্ণপুর ও গোপালপুরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল ২ জন পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে।
জানা গিয়েছে, এই ৭জন পরিযায়ী শ্রমিক মুম্বই ও মহারাষ্ট্র থেকে নিজেদের বাড়ি ফিরে আসার পর গত ১১ই জুন এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও পটাশপুর গ্ৰামীন হাসপাতালে তাদের লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়।এরপর তাদের সবার রিপোর্ট আজ পজিটিভ আসে।তারপর এগরা ও পটাশপুর এর প্রশাসন তাদের পাঁশকুড়া বড়োমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
No comments