ভয়ঙ্কর সংক্রমন ভাইরাস করোনা যেনো সব কিছু ওলট পালট করে দিলো।যাত্রাদল আছে বুকিং সেন্টার আছে শুধু হচ্ছে না বুকিং।কারণ করোনা ভাইরাসের জের!রাতেই তো লকডাউন। পূজা,অনুষ্ঠান, উৎসব সমস্ত কিছু বন্ধ।মুখে মাস্ক পরে যাত্রা করা অসম্ভব ব্যাপার…
ভয়ঙ্কর সংক্রমন ভাইরাস করোনা যেনো সব কিছু ওলট পালট করে দিলো।যাত্রাদল আছে বুকিং সেন্টার আছে শুধু হচ্ছে না বুকিং।কারণ করোনা ভাইরাসের জের!রাতেই তো লকডাউন। পূজা,অনুষ্ঠান, উৎসব সমস্ত কিছু বন্ধ।মুখে মাস্ক পরে যাত্রা করা অসম্ভব ব্যাপার।তাই কার্যত দিশেহারা যাত্রার আঁতুড় ঘর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার।আতঙ্কে আজ সব কিছু স্তব্ধ। সোস্যাল ডিষ্টেনসের যাঁতাকলে থমকে গেছে সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর তাতে বাদ যায়নি যাত্রাপালাও। প্রাচীন যাত্রা শিল্প বেঁচে থাকার বটন মূলত রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের হাতে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কিছু কিছু যাত্রা দল থাকলেও পূর্ব মেদিনীপুরকে যাত্রার আতুঁড় ঘর বলা হয়।প্রায় ৬০% যাত্রার দল রয়েছে এই জেলায়।পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর যাত্রার দল গুলি কে নিয়ে তাম্রলিপ্ত যাত্রা কল্যান সমিতি রয়েছে নন্দকুমারে। এখানে প্রায় কুড়িটি বুকিং অফিস রয়েছে।প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ পরোক্ষ ভাবে এই পেশায় যুক্ত।লকডাউনে কেউ চা বিক্রি,কেউ জিনিসপত্র ফেরি করে কেউ বা মাছ ও সবজী দোকান দিয়ে পেট চালিয়েছে। কিন্তু মন টানে রঙ্গমঞ্চ,দর্শকের হাততালি।লকডাউন শিথিল হলেও যাত্রার ক্ষেত্রে সরকার এখন ও গ্রীন সিগন্যাল দেয়নি! যদিও সরকার থেকে আশার বানী দিয়েছে আগষ্ট মাস নাগাদ বিবেচনা করে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নেওয়া হবে।তবে যাত্রা দল গুলি ইতিমধ্যে প্রস্তুতি করে রেখেছে।দিদিকে বলো, কিংবা বিশ্বধংসী রাক্ষসী কোরোনার মত যাত্রা গান রচনা করে রেখেছে।এবং আগষ্ট মাস থেকে রিহার্সাল শুরু করে দেবে।পাশাপশি দিনের বেলা পালা গান করার জন্য তারা প্রস্তুত।
রথের দিন প্রথা মেনে শুভ মহরত করল যাত্রার দল গুলি।বিগত বছর গুলির মত না হলেও অফিস গুলি মঙ্গলবার থেকে খোলা রাখা হচ্ছে।
নতুন নতুন পালাগান নিয়ে আর কয়েক দিন পরে রিহার্সাল শুরু করে দেবে। কিন্তু তারপর? আদৌ কি যাত্রা মঞ্চে উপস্থাপন করা যাবে?যদি সরকারি বিধিনিষেধ না ওঠে। তখন কি হবে? আপাতত তিন মাস কষ্ট করে চালিয়ে নিয়েছে।তারপর কি করে চলবে?ঐ সব পরিবারের মানুষদের।সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে জেলার যাত্রা শিল্পীরা।
No comments