পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে বিজেপির ডেপুটেশন নিয়ে বিজেপি তৃণমূলের সংঘর্ষের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের মারধর ও আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ সহ বিভিন্ন সরকারী প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষদের বঞ্চিত করার প্রতিবাদে কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে বিজেপির ডেপুটেশন নিয়ে বিজেপি তৃণমূলের সংঘর্ষের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের মারধর ও আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ সহ বিভিন্ন সরকারী প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষদের বঞ্চিত করার প্রতিবাদে কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচী গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এরপর সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাঁথি মেছেদা বাইপাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে কাঁথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিসে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশান কর্মসূচী সফল করার জন্য প্রস্তুত হয় বিজেপির নেতাকর্মীরা।আর সেই ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের।
এমতাবস্থায় কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে কলকাতা থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রবেশ করা মাত্রই কোলাঘাট জাতীয় সড়কে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর পথ আটকায় পুলিশ প্রশাসন।এরপর তিনি পুলিশ প্রশাসনের বাধা পেয়ে কোনো গন্ডগোল সৃষ্টি না করে পুনরায় তিনি কলকাতা ফিরে যান।এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার কাঁথি মেচেদা বাইপাসে ব্যানার ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতাকর্মীরা।এরপর মহকুমা শাসকের নির্দেশে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন।এরপর বিজেপি কর্মীদের জমায়েত না করে তাদের চলে যেতেন বলেন।কিন্তু বিজেপির নেতাকর্মীরা ওনাদের কথায় তেমন কর্ণপাত না করে পুনরায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪জন বিজেপির দলীয় কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।তারপর পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি।এরপর পুলিশ তাদের পুনরায় বুজিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
তবে এই ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজর এড়িয়ে কাঁথিতে দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে উপস্থিত হন বাঁকুড়ার সাংসদ ডাঃসুভাষ সরকার।এরপর তিনি বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সমস্ত আলোচনা সেরে মিছিল করে কাঁথি মহকুমা শাসকের দফতর ঘেরাও করে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন।
এই ঘটনা নিয়ে সাংসদ ডঃ সুভাষ সরকার বলেন, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে যে ডেপুটেশন প্রদান করা হবে সে বিষয়ে জেলা সভাপতি আগেই পুলিশ প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানিয়েছেন।তা সত্বেও পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার।আমরা চাইছি আমফানের এই দুর্ণীতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বন্ধ করতে হবে।তাছাড়া শাসকদল যখন তখন বিরোধীদের মারধর করবে এটা চলবে না। পুলিশ কে একেবারে নিরপেক্ষ হয়ে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে।
No comments