আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্ৰস্থ মায়াচরের দুঃস্থ ও অসহায় বাসিন্দাদের পাশে মেদিনীপুর ক‍্যুইজ কেন্দ্র

রূপনারায়ন নদীর তীরে মহিষাদল সন্নিকটস্থ একটি দ্বীপ। এখানে কয়েক হাজার মানুষের বাস। বেশিরভাগ মানুষ হাওড়া বা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। মূল জীবিকা চাষবাস হলেও কিছু মানুষ এখানে ইঁটভাঁটা বা নদীবক্ষে মৎস্য চাষে নিয়োজিত। কিন্তু সাইক্লোন আমফ…

রূপনারায়ন নদীর তীরে মহিষাদল সন্নিকটস্থ একটি দ্বীপ। এখানে কয়েক হাজার মানুষের বাস। বেশিরভাগ মানুষ হাওড়া বা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। মূল জীবিকা চাষবাস হলেও কিছু মানুষ এখানে ইঁটভাঁটা বা নদীবক্ষে মৎস্য চাষে নিয়োজিত। কিন্তু সাইক্লোন আমফানের দাপটে এই দ্বীপের প্রায় চারশো পরিবার ভীষনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বাড়ির চাল উড়ে যায়। পান বোরোজগুলিও ভেঙে পড়ে। এমনকি বিধ্বংসী ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় চোদ্দ দিন বাদেও এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। আবার লকডাউনের আগেই নৌকাডুবি হওয়ায় দণিপুর, অমৃতবেড়িয়া থেকে খেয়া পারাপারও বন্ধ ছিল। তাই ত্রাণ কার্যে বেশ কিছুটা সমস্যা ছিল।

বিষয়টি সংগঠনের শুভানুধ্যায়ী মানুষ রঘুনাথ পন্ডার মাধ্যমে জানতে পারি। আমরা উদ্যোগী হই। ফেসবুকে নয় আমাদের অভ্যন্তরীণ আবেদনে সাড়া দিয়ে কেবল সদস্যরা নয়, তাঁদের কাছের মানুষজনের সহযোগিতায় আমফান পরবর্তী সময়ে আমাদের সীমিত ক্ষমতায় কিছু আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি মাত্র। এই সকল শুভানুধ্যায়ী মানুষের ভরসাতেই গত ৩ জুন বুধবার ঐ এলাকার ৭৯ টি পরিবারের হাতে পরিবার পিছু ১ টি করে ত্রিপল ছাড়া চাল, ডাল, তেল, নুন, সুজি, বিস্কুট, চা, গুঁড়ো দুধ সহ ১৪ টি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। জানি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তবুও সবাই মিলে কিছুদিন ওঁদের পাশে থাকলে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওনারা হয়তো আবার নিজের কাজে ভালোভাবে ফিরে যেতে পারবেন। আমাদের সংগঠনের কাজ এটুকুই। ইতিমধ্যেই সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা হলদিয়া, কাঁথি, নন্দীগ্রাম ও জঙ্গল মহলের কিছু জায়গায় কাজ করার চেষ্টা করেছি। আগামীদিনেও আমরা আমাদের সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।

লকডাউন পরিবেশে এই কর্মসূচিতে সংগঠনের হয়ে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক কৃষ্ণ প্রসাদ ঘড়া, ড. মৌসম মজুমদার, কমলিকা সামন্ত, ভাস্করব্রত পতি, শুভঙ্কর ভূইঞা, জয়দেব মন্ডল, কালিচরন দাস, চন্দন মন্ডল ও গৌতম নন্দ। উপস্থিত ছিলেন বয়সে প্রবীণ মানসিকতায় নবীন মাস্টারমশাই রঘুনাথ পন্ডা ও সহযোগী মানুষজন। যাঁরা দূরে থেকেও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করলেন এবং যাঁরা ঐ দিন উপস্থিত থেকে কাজ করতে সহযোগিতা করলেন প্রত্যেককে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।