করোনা মহামারির আতঙ্কের শিকার......সাবিএী প্রামানিকের বাড়ি হলদিয়া পৌরসভার ২৯ নং ওয়ার্ডের বস্তিবাসী এলাকায়। ৬৫ বছরের বিধবা মহিলার সংসারে তাঁর ছেলে,বৌমা ও নাতি রয়েছে। সাবিত্রী দেবী বজবজের একজনের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। তার…
করোনা মহামারির আতঙ্কের শিকার......সাবিএী প্রামানিকের বাড়ি হলদিয়া পৌরসভার ২৯ নং ওয়ার্ডের বস্তিবাসী এলাকায়। ৬৫ বছরের বিধবা মহিলার সংসারে তাঁর ছেলে,বৌমা ও নাতি রয়েছে। সাবিত্রী দেবী বজবজের একজনের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। তারিখে বজবজ থেকে সুস্থ শরীরে হলদিয়ার বাড়িতে আসেন। তাঁর নিজের পরিবারসহ পাড়ার সকলে ঘরে থাকতে বাধা দেয়।সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে...তিনি যে পরিবারে কাজ করতেন,সেই পরিবারের সকলেই সুস্থ।কিন্তু কোনো কথা শুনতে রাজি নয় পাড়ার লোকসহ নিজের আপনজনেরা।নিরুপায় হয়ে ঐ ভদ্রমহিলা থানায় যান। থানা থেকে সাবিত্রী দেবীকে হলদিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।ডাক্তারবাবু সবকিছু শুনে ১৪ দিন আলাদাভাবে বাড়িতে থাকতে বলেন এবং একটি কাগজে তা লিখেও দেন।এরপর শুরু হয় বেঁচে থাকার জন্য অন্য লড়াই।কোনোভাবে এিপল সংগ্রহ করে নির্জন এলাকায়(নিজ ঘর থেকে একটু দূরে) খালপাড়ে থাকার ব্যবস্থা করেন। নিজ বাড়ির লোকজনসহ পাড়ার লোকেরা একপ্রকার বয়কট করার ফলে প্রায় অনাহারে একদিন কাটাতে হয়। এলাকার যুব কর্মীদের কাছে এই খবর আসার সাথে সাথেই.সিপিআই(এম)-হলদিয়া দক্ষিন এরিয়ার পার্টি নেতৃত্বগন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গিয়ে সাবিএী দেবীর হাতে তুলে দেন।সেখানে পৌঁছে দেখেন ঘরটির একদিকে খাল আর দুই দিকে কচুরীপানা ভর্তি ডোবাখানা।সাবিএী দেবী বললেন রাএিতে ঘুম হয়নি বাবা সাপের ভয়ে। এলাকার দেবেশ আদক কার্বোলিক অ্যাসিড এনে সাবিত্রীর থাকার জায়গার চারদিকে ছড়িয়ে দেয়।প্রশাসনগতভাবে থাকা-খাওয়ার কোনোরুপ ব্যবস্থা করা হয়নি। বন্ধু দেবেশ আদক সহ এলাকার পার্টিকর্মীরা সাবিএী দেবীর সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেন। সকালে চা খাওয়ার অভ্যাস থাকায় দেবেশ দা নিজ হাতে চা বানিয়ে ভদ্রমহিলার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।আগামী কয়েক দিন পর তিনি নিজ বাড়িতে আসবেন ১৫ দিন ঐভাবে কাটানোর পর। আমরা সকলে রোগের সাথে আন্দোলন করবো রোগীর সাথে নয়।
No comments