মরন করোনা ভাইরাস থেকে আপাতত স্বস্তি মিলল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিবাসী। গত দুদিন আগে কোলকাতার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন কাঁথির বাসিন্দা এক ব্যক্তির করোনা ভাইরাস পজেটিভ ধরা পড়ে। এই রির্পোট পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরকে জা…
মরন করোনা ভাইরাস থেকে আপাতত স্বস্তি মিলল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিবাসী। গত দুদিন আগে কোলকাতার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন কাঁথির বাসিন্দা এক ব্যক্তির করোনা ভাইরাস পজেটিভ ধরা পড়ে। এই রির্পোট পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানিয়ে দেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। এরপর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। ওই ব্যক্তির প্রথমে চিকিৎসা করান কাঁথির এক চিকিৎসকের কাছে। ওই চিকিৎসকসহ আত্মীয়-পরিজন প্রায় ৯০ জনের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসক সহ কয়েকজনকে হোম কোয়ারন্টান থাকতে বলে পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্যদপ্তর।ওই ব্যক্তির মেয়ে মা ও ছেলেকে চণ্ডীপুরে হাসপাতালের হোম কেয়ারন্টাইনের রাখা হয়। পাশাপাশি লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর কাঁথি শহরে গোটা রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায়।শনিবার সকালের কাঁথিতে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা শাসক পার্থ ঘোষ, পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখার্জি সহ একাধিক আধিকারীকরা।
চিকিৎসকসহ ছেলে বৃদ্ধ মা, মেয়ে, ছেলে, চিকিৎসক সহ মোট ৩২ জনের করোনা ভাইরাস নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এই রিপোর্ট জানার পর কাঁথি শহরে আপাতত স্বস্তি মিললো। এদিন চন্ডীপুর কোরান্টাইন সেন্টার থেকে তিনজনকে বাড়ি ফেরার হবে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূএে জানাগেছে। শনিবার রাতে রিপোর্টের করোনা ভাইরাস নেগেটিভ স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানাগিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন কাঁথি এই বাসিন্দা ছেলে বৃদ্ধা মা চিকিৎসক সহ ৩২ জনের লালারসের সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টে করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসে। চন্ডীপুর কোরায়ন্টাইন থেকে আক্রান্ত ব্যক্তির বৃদ্ধা মা, মেয়ে ও ছেলেকে বাড়ি ফেরানো প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
No comments