পেটের তাগিদে মাস চার- পাঁচেক আগে মালদহ,মুর্শিদাবাদ থেকে ফার্নিচার ও রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য প্রায় একশো পরিযায়ী শ্রমিক কোলাঘাটের বিভিন্ন এলাকায় আসেন।কিন্তু হঠাৎই করোনার প্রকোপ ও তার সাথে লকডাউন পরিস্থতি সবমিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়ে…
পেটের তাগিদে মাস চার- পাঁচেক আগে মালদহ,মুর্শিদাবাদ থেকে ফার্নিচার ও রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য প্রায় একশো পরিযায়ী শ্রমিক কোলাঘাটের বিভিন্ন এলাকায় আসেন।কিন্তু হঠাৎই করোনার প্রকোপ ও তার সাথে লকডাউন পরিস্থতি সবমিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়েন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।কোলাঘাট ব্লক প্রশাসনের নজরে পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নজরে আসে।যদিও ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে দুবেলা আহারের জন্য অনেক শ্রমিকদের ব্যবস্থা করলেও,কাজ না থাকায় এবং অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়ায় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায় নিজেদের বাড়িতে ফেরার বিষয়ে। প্রশাসনের তরফ থেকে সদর্থক ভূমিকা গ্রহন করা হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য।কোলাঘাট ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে বিষয়টি পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে জানানো হয়।অবশেষে পরিবহন মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় দুটি সরকারী বাস দেওয়া হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যপারে।কোলাঘাট ব্লক এলাকায় ৭৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রথমে ডাকা হয় এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ।তারপর তাদের বাড়ি ফেরার জন্য বাসে তোলা হয়।এদিন কোলাঘাট ব্লকের বিডিও মদন মোহন মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি রাজকুমার কুন্ডু এবং কোলাঘাট বিটহাউস থানার আই সি র উপস্থিতিতে বাড়ি ফেরানো হয় ৭৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের।আজই শ্রমিকেরা তাদের মুর্শিদাবাদ ও মালদাহে পৌছোবে বলে জানাগেছে।লকডাউন পরিস্থিতিতে ৭৬ জন শ্রমিক বাড়িফিরতে পেরে রীতিমতোই খুশি।
No comments