বরাবরের মত এবারেও দোল উৎসব উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের রাধামাধব জিউ আশ্রম হতে চল্লিশ জন তীর্থযাত্রী বৃন্দাবনে গিয়েছিলেন একটি আশ্রমের আমন্ত্রণে। ফেরার কথাছিল গত 23শে মার্চ। লকডাউনের কবলে পড়ে সেই থেকে এই দলটি বৃন্দাবন…
বরাবরের মত এবারেও দোল উৎসব উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের রাধামাধব জিউ আশ্রম হতে চল্লিশ জন তীর্থযাত্রী বৃন্দাবনে গিয়েছিলেন একটি আশ্রমের আমন্ত্রণে। ফেরার কথাছিল গত 23শে মার্চ। লকডাউনের কবলে পড়ে সেই থেকে এই দলটি বৃন্দাবনেই আটকে পড়ে। দলটির সবারই বয়স প্রায় ষাটোর্ধ্ব। ওনাদের পক্ষে ভীম চন্দ্র দাস জানান আশ্রমের প্রাচীর বেষ্টিত ঘেরাটোপের মধ্যে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও দলের প্রায় সবাই মনের দিক থেকে ভেঙে পড়েছেন। কয়েকজন বাড়ির চিন্তায় খাওয়া-ঘুম ত্যাগ করে মানসিক অবসাদে বিধ্বস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। মোবাইলে ভিডিও'র মাধ্যমে ওনারা পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছেন ,যাতে করে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়। ফেরার পর করোনাভাইরাস জনিত যে কোনো শারীরিক পরীক্ষা বা যা কিছু নিয়মবিধি সবটাই তারা পালন করবেন।https://youtu.be/U6TOPJ1KVJ
এদিকে কোলাঘাটে আশ্রমে এবং আটকে পড়া বাড়ির লোকেদেরও দিন দিন উৎকণ্ঠা বাড়ছে। কোলাঘাট রাধামাধব আশ্রমের পক্ষে কল্যাণ সামন্ত জানিয়েছেন,
"আমাদের আটকে পড়া মানুষগুলো যেমন ষাটোর্ধ্ব আবার এতদিন বাড়ির বাইরে পরিযায়ী শ্রমিকদের মত আটকে থাকাটাও ওনাদের ক্ষেত্রে খুবই কষ্টের। বাড়ির লোকজন আশ্রমে এসে রোজই কান্নাকাটি করছেন। কোলাঘাট থেকে প্রশাসনে ও জনপ্রতিনিধিদের বারবার জানিয়েও কি হবে,তার কোনো দিশা দেখছি না। রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ একটু দেখুন।
সবমিলে সারাবছর সাধন ভজন, নানাবিধ সামাজিক ও সেবামূলক কাজে মুখরিত কোলাঘাটের রাধামাধবজিউ আশ্রমে যেন একে লকডাউন আবহ তার উপর এই ঘটনা দুঃশ্চিন্তার ছায়া গ্রাস করেছে।
No comments