লকডাউন ঘোষণার ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানা ও ভগবানপুর থানার বেশকিছু এলাকার ছেলে বিল্ডিং লাইনে কাজ করতে গিয়ে কেরালাতে আটকে পড়েছে। সরকার যাতে তাদের বাড়ি ফেরার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়,তার জন্যে কাতর আর্জি এই শ্…
লকডাউন ঘোষণার ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানা ও ভগবানপুর থানার বেশকিছু এলাকার ছেলে বিল্ডিং লাইনে কাজ করতে গিয়ে কেরালাতে আটকে পড়েছে। সরকার যাতে তাদের বাড়ি ফেরার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়,তার জন্যে কাতর আর্জি এই শ্রমিকদের । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁদের কাতর আর্জি, তাঁদের যেন কেরালা থেকে উদ্ধার করে পূর্ব মেদিনীপুরের নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তাঁরা ঠিকমতো খেতেও পারছে না বলে তাঁরা একটা ভিডিও পোস্ট করে। কিছু চাল সংগ্রহ করা ছিল তাই দিয়ে তাঁরা নিজেদের বাঁচানোর তাগিদে ক্ষুধা নিবারণ করছে। এক প্রকার জীবন লড়াই করে তাঁরা রয়েছে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে যাওয়া কেরালায়। বর্তমান তাঁরা সংকটে পড়ে বাড়ি ফিরতে চেয়ে একটি ভিডিও বার্তা পাঠায়, গ্রামেরই কিছু যুবকের হোয়াটসঅ্যাপে। কেরেলার ত্রিবন্দম শহরে আটকে পড়া বেশ কয়েকজনের মধ্যে কৌশিক পাত্র নামে এক যুবক জানায় করনার জন্য লকডাউন হওয়ায় তাঁরা ঠিকমতো খেতে পাচ্ছে না, থাকতে পাচ্ছেনা,তাঁদের কাজ বন্ধ। এখানকার সরকার আমাদের কোনো দায়িত্বও ঠিকমতো নিচ্ছে না। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। কাউকে জানাতে পারছি না আমাদের দুরাবস্থার কথা। একই সাথে আটকে পড়া পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাসিন্দা দীপক কুমার দোলই বলেন ,আমরা ঠিক মতো থাকতে পারছি না, কাজ বন্ধ, হাতে টাকা পয়সা নেই, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকলকে সুস্থ ভাবে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দিক। আর এক সঙ্গী সুশান্ত সর্দারও একই কথা বলে বাঁচার তাগিদে, বাড়ি ফেরার আর্জি জানিয়ে নিজেরাই ভিডিও করে গ্রামের পরিচিত ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপে তাঁরা পাঠায়।
No comments