ঘাটালের বানভাসিদের কনভেনশনের প্রস্তুতিতে সভা।সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক: ঘাটালে বন্যার জল নেমে গেলেই নভেম্বর মাসে শিলাবতী নদীর নিম্নাংশ এবং রূপনারায়নের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অংশটি পূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করে আগামী বর্ষার পূর…
ঘাটালের বানভাসিদের কনভেনশনের প্রস্তুতিতে সভা।
সংবাদদাতা-নারায়ন চন্দ্র নায়ক: ঘাটালে বন্যার জল নেমে গেলেই নভেম্বর মাসে শিলাবতী নদীর নিম্নাংশ এবং রূপনারায়নের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অংশটি পূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করে আগামী বর্ষার পূর্বে শেষ সহ মাস্টার প্ল্যানের প্রথম পর্যায়ের কাজে দ্রুততার সাথে হাত দেওয়ার দাবীতে ৩১ অক্টোবর ঘাটালে বানভাসিদের কনভেনশনের ডাক দিয়েছে-ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি। আজ ওই কর্মসূচির প্রস্তুতিতে ডেবরার মলিঘাটি এলাকার মধুবনপুরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভীম চরন মান্না। মুল বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক। নারায়নবাবু ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন সুধীর চন্দ্র বাগলি,দীপঙ্কর মাইতি,বঙ্কিম সামন্ত,নিমাই মন্ডল প্রমুখ।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক অভিযোগ করে বলেন,বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আজো রূপায়িত না হওয়ায় চলতি বছরে ঘাটাল মহকুমার একটি বিস্তীর্ণ এলাকা এবার ৭ বার বন্যার কবলে পড়লো। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মূখ্যমন্ত্রীর মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের ঘোষণা এবং অর্থ বরাদ্দের সাত মাস পরও সেই অর্থে কোনো কাজ শুরু না হওয়ায় এ বছরের বর্ষায় কয়েকজনের জীবনহানি সহ হাজার হাজার মানুষকে বিগত বছরগুলির মত এবছরও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হল। মাস্টার প্ল্যানের প্রথম পর্যায়ের কাজের শুরুতেই যেটা দরকার ছিল,শীলাবতী নদীর নিম্নাংশ পূর্ণ সংস্কার,সেচ দপ্তর প্রথমে সেই কাজের উদ্যোগ না নিয়ে যে কাজগুলিতে নিশ্চিত বিরোধিতা আসবে,সেই কাজগুলিই করার উদ্যোগ নিলেন। ফলস্বরূপ মানুষের এই দুর্ভোগ বাড়ল। রাজ্য সরকার কর্তৃক টাকা মঞ্জুরের পরপরই ওই সংস্কার কাজের উদ্যোগ নেওয়া হলে চলতি বর্ষায় ভুক্তভোগী হাজার হাজার বানভাসি মানুষজনেরা ভয়াবহ বন্যার হাত থেকে খানিকটা রেহাই দেওয়া যেত।
নারায়নবাবু ডেবরা ব্লক এলাকার সমস্ত ভুক্তভোগীদের ওই কনভেনশনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। সভায় ডেবরা ব্লক প্রশাসন ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

No comments