সুষ্ঠুভাবে মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের স্বার্থে ৩১শে অক্টোবর ঘাটালে বানভাসিদের কনভেনশনের ডাক!
সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক : শিলাবতী নদী সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় মূখ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়ে সেচ দপ্তরের সিডিউল অনুসারে শিলাবতী ন…
সুষ্ঠুভাবে মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের স্বার্থে ৩১শে অক্টোবর ঘাটালে বানভাসিদের কনভেনশনের ডাক!
সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক : শিলাবতী নদী সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় মূখ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়ে সেচ দপ্তরের সিডিউল অনুসারে শিলাবতী নদীর নিম্নাংশ ও কংসাবতী এবং রূপনারায়নের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অংশটি পূর্ণ সংস্কার সহ মাস্টার প্ল্যানের প্রথম পর্যায়ের কাজ দ্রুততার সাথে রূপায়ণের আবেদন জানিয়ে মূখ্যমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি।
সম্প্রতি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত শিলাবতী নদীর নিম্নাংশের রামদেবপুর থেকে হরিশপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের কাজ শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাধুবাদ জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত না হওয়ায় চলতি বছরে ঘাটাল মহকুমার একটি বিস্তীর্ণ এলাকা ৭ বার বন্যার কবলে পড়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি কয়েকজনের জীবনহানি সহ হাজার- হাজার মানুষ বিগত বছরগুলির মত এবছরও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়ে মাস্টার প্ল্যানের কাজ সুষ্ঠুভাবে রূপায়ণের স্বার্থে মনিটরিং কমিটিতে মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যুক্ত করার দাবী জানানো হয়।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ওই স্মারকলিপিতে ৮ দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন,মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে। ওই স্মারকলিপির কপি রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া,দপ্তরের প্রধান সচিব,মুখ্য বাস্তুকার, সুপারিনটেন্ডিং ও এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার,এসডিও (ইরিগেশন),পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক ও ঘাটালের মহকুমা শাসককেও দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলি হলো-১) শিলাবতীর নিম্নাংশে যে ২৩ কিলোমিটার অংশ সংস্কার করা হবে,সেই অংশে সেচ দপ্তরের সম্পূর্ণ জায়গা চিহ্নিতকরণ সহ দপ্তরের বর্তমান কাটিং চার্ট অনুসারে যতটা খাল সংস্কার হবে, তা মার্কিং করে দেওয়া ২) অবিলম্বে নদীর ভেতরে থাকা সমস্ত রকম অবৈধ নির্মাণ ও গাছ কেটে পরিষ্কার করা ও এজন্য দ্রুত সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং এর বন্দোবস্ত ৩) নদীর চরে সংস্কার করা মাটি রাখার জন্য খানিক অংশ ছাড়া জায়গা চিহ্নিতকরণ ৪) সংস্কার করার মাটি থেকে দুর্বল নদীবাঁধের অংশগুলি শক্তপোক্তকরণ সহ পূর্নাঙ্গ নদীবাঁধ উঁচু করে নির্মাণের পর বাকি মাটি বিক্রি ৫) সিডিউল অনুসারে ঠিকাদার ঠিকমত কাজ করছে কিনা,তা দেখভাল করার জন্য অন্তত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাভিত্তিক তদারকি কমিটি গঠন ৬) উপরোক্ত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দ্রুত কাজের গতি বাড়িয়ে(প্রয়োজনে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে কাজের দায়িত্ব দিয়ে)আগামী বর্ষার পূর্বে যাহাতে বেশিরভাগ অংশের কাজ শেষ হয় সেজন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা ৭) শিলাবতী নদীর নিম্নাংশ সংস্কারের পাশাপাশি কংসাবতীর রামচন্দ্রপুর থেকে পাঁশকুড়ার শ্যামপুর পর্যন্ত ও রূপনারায়ণের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অংশটি অতি দ্রুত পূর্ণ সংস্কার করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ ৮) চন্দ্রেশ্বর খালকে শিলাবতীর সাথে সংযুক্তিকরণ,পাম্প হাউস ও ডোয়ার্ফ ওয়াল নির্মাণ সহ মাস্টার প্ল্যানের প্রথম পর্যায়ের বাকী কাজগুলিতে ধাপে ধাপে হাত দেওয়া প্রভৃতি।
কমিটির অপর যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ মাইতি জানান,ওই প্রস্তাবসমূহ কার্যকর করার বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনার জন্য আগামী ৩১ শে অক্টোবর,সকাল দশটায় ঘাটালের অন্নপূর্ণা আর্কেডে মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্গত ভুক্তভোগী ১৩ টি ব্লক এলাকার প্রতিনিধিদের নিয়ে এক কনভেনশন আহ্বান করা হয়েছে।

No comments