সহপাঠীর সোনার হার ফেরত দিয়ে সততার নজির গড়ল পেটুয়া ভিডিয়ালয়ে পরিবারের ছাত্রী পূর্ণিমা দাস!
মানুষের মধ্যে সততার বীজ এখনও অমলিন— তা ফের প্রমাণ করল পেটুয়া জুনিয়ার হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা দাস। সহপাঠীর হারানো সোনার হার …
সহপাঠীর সোনার হার ফেরত দিয়ে সততার নজির গড়ল পেটুয়া ভিডিয়ালয়ে পরিবারের ছাত্রী পূর্ণিমা দাস!
মানুষের মধ্যে সততার বীজ এখনও অমলিন— তা ফের প্রমাণ করল পেটুয়া জুনিয়ার হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা দাস। সহপাঠীর হারানো সোনার হার কুড়িয়ে পেয়ে নিজের কাছে না রেখে তা ফিরিয়ে দিয়ে সমাজে সৃষ্টি করল এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ঘটনাটি ঘটে পুজোর ছুটি পড়ার দিন। স্কুল ছুটির পর মাঠে একটি সোনার লকেটসহ হার কুড়িয়ে পায় পূর্ণিমা। সোনার গয়না বুঝেও সে এক মুহূর্ত দ্বিধা না করে সেটি জমা দেয় পেটুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তেহেরান হোসেনের কাছে।
অন্যদিকে, তারই সহপাঠী পিয়ালী জানার পরিবার সেদিনই জানতে পারে মেয়ের সোনার হারটি হারিয়ে গেছে। চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। প্রায় এক সপ্তাহ পরে পিয়ালির মা বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ফোন করে খোঁজ নিলে জানা যায়, হারটি নিরাপদে বিদ্যালয়ের কাছেই আছে।
পুজোর ছুটির শেষে প্রথম দিন স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সকল শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে পূর্ণিমা দাস নিজ হাতে পিয়ালির হাতে হারটি ফিরিয়ে দেয়। হারটি ফেরত পেয়ে পিয়ালির পরিবার ভীষণ আনন্দিত হয়ে পূর্ণিমাকে আশীর্বাদ জানায়। পূর্ণিমা জানায়, “অন্যের জিনিস লুকিয়ে নেওয়া পাপ। আমি এই শিক্ষা পেয়েছি স্কুল ও পরিবার থেকে। হারটি পেয়ে নেওয়ার লোভ একবারও হয়নি।”
প্রধান শিক্ষক তেহেরান হোসেন বলেন, “আমরা প্রতিদিনই সততার পাঠ দিই, কিন্তু বাস্তবে তার অনন্য উদাহরণ দেখাল আমাদের ছোট্ট পূর্ণিমা। সে আমাদের বিদ্যালয়ের গর্ব।”পেটুয়া জুনিয়ার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সনাতন জানা বলেন, “পূর্ণিমার সততা ও মানবিকতা অনুকরণীয়। আমরা তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।”
No comments