মা দুর্গার নবম শক্তির নাম দেবী সিদ্ধিদাত্রী!
গন্ধর্বযক্ষাধৈরসুরৈরমরৈরপিসেব্যমানাসদা ভূয়াৎ সিদ্ধিদা সিদ্ধিদায়িনী ।।
মা দুর্গার নবম শক্তির নাম দেবী সিদ্ধিদাত্রী । সব শেষে সাধনায় সিদ্ধিলাভ সত্য। শাশ্বত মাতৃ কায়া, পদ্মকোরকে আসীন মাতা…
মা দুর্গার নবম শক্তির নাম দেবী সিদ্ধিদাত্রী!
গন্ধর্বযক্ষাধৈরসুরৈরমরৈরপিসেব্যমানা
সদা ভূয়াৎ সিদ্ধিদা সিদ্ধিদায়িনী ।।
মা দুর্গার নবম শক্তির নাম দেবী সিদ্ধিদাত্রী । সব শেষে সাধনায় সিদ্ধিলাভ সত্য। শাশ্বত মাতৃ কায়া, পদ্মকোরকে আসীন মাতা। শাড়ির আঁচল-এ মহাকাশ। আলুলায়িত কবরীভার (এলো চুল) হল জাগতিক জ্ঞানের গুচ্ছমূল। চার হাতে শঙ্খ -চক্র-গদা-পদ্ম অর্থাৎ সৃষ্টি -লয়-পালন-বারন। দেবী সিদ্ধিদাত্রী সর্বপ্রকারের সিদ্ধি প্রদানকারী। মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুসারে অষ্টসিদ্ধি বা আট প্রকারের সিদ্ধি রয়েছে, যেমন- অণিমা, মহিমা, গরিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, ঈশিত্ব এবং বশিত্ব। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ডে অষ্টাদশ সিদ্ধির বিষয়ে বলা হয়েছে। যেমন –
অণিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, মহিমা, ঈশিত্ব, বশিত্ব, সর্বকামাবসায়িতা, সর্বজ্ঞত্ব, দূরশ্রবণ, পরকায়প্রবেশন, বাকসিদ্ধি, কল্পবৃক্ষত্ব, সৃষ্টি, সংহারকরণসামর্থ্য, অমরত্ব, সর্বন্যায়কত্ব, ভাবনা, সিদ্ধি।
মা সিদ্ধিদাত্রী ভক্ত এবং সাধককে উপরোক্ত সর্বসিদ্ধি প্রদানে সক্ষম। তাই মায়ের অপর নাম সিদ্ধেশ্বরী।দেবীপুরাণ অনুসারে ভগবান শিব, দেবী সিদ্ধিদাত্রীর কৃপাতেই সিদ্ধি প্রাপ্ত করেছিলেন। মায়ের অনুকম্পাতেই ভগবান শিবের অর্ধেক শরীর দেবীতে পরিণত হয় এবং তিনি অর্ধনারীশ্বর নামে খ্যাত হন। দেবী সিদ্ধিদাত্রী চতুর্ভুজা ।তিনি সিংহবাহিনী । তাঁকে পদ্ম ফুলে আসীনও দেখা যায়। মায়ের দক্ষিণ দিকের দুই হস্তে রয়েছে চক্র এবং গদা। বাম দিকের দুই হস্তে আছে শঙ্খ এবং কমল পুষ্প। নবরাত্রির নবম দিনে মা দুর্গার নবম স্বরূপ দেবী সিদ্ধিদাত্রীর উপাসনা করা হয়। সেইদিন শাস্ত্রীয় বিধি – বিধান অনুসারে পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে নিজের মন কে সন্ধি চক্রে স্থির করে উপাসনা করলে সাধক সর্বসিদ্ধি প্রাপ্ত করেন। জগতের কোনকিছুই আর তার পক্ষে অসম্ভব নয়। মা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায় সাধকের লৌকিক ও পারলৌকিক সর্ব কামনা পূর্ণ হয়। মা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনায় এবং তাঁর কৃপায় কেতু গ্রহের অশুভ প্রভাব হ্রাস হয়।
No comments