Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়ার শিল্প সংস্থাগুলি। একাধিক মাঝারি ও বড় শিল্প সংস্থা এবং কোস্টগার্ডের মতো ৩২টি সংস্থা হলদিয়ায় জমি চেয়েছে।

বন্দর শহরে শিল্প গড়তে রাজ্য সরকারের কাছে দ্রুত জমি হস্তান্তরের দাবিতে সরব হয়েছে হলদিয়ার শিল্প সংস্থাগুলি। একাধিক মাঝারি ও বড় শিল্প সংস্থা এবং কোস্টগার্ডের মতো ৩২টি সংস্থা হলদিয়ায় জমি চেয়েছে।বন্দর শহরে শিল্প গড়তে রাজ্য সরকারের কাছ…

 


বন্দর শহরে শিল্প গড়তে রাজ্য সরকারের কাছে দ্রুত জমি হস্তান্তরের দাবিতে সরব হয়েছে হলদিয়ার শিল্প সংস্থাগুলি। একাধিক মাঝারি ও বড় শিল্প সংস্থা এবং কোস্টগার্ডের মতো ৩২টি সংস্থা হলদিয়ায় জমি চেয়েছে।

বন্দর শহরে শিল্প গড়তে রাজ্য সরকারের কাছে দ্রুত জমি হস্তান্তরের দাবিতে সরব হয়েছে হলদিয়ার শিল্প সংস্থাগুলি। একাধিক মাঝারি ও বড় শিল্প সংস্থা এবং কোস্টগার্ডের মতো ৩২টি সংস্থা হলদিয়ায় জমি চেয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১৩০ একর জমির আবেদন জমা পড়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এইচডিএ) ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে ওই জমি দেওয়া হবে শিল্প সংস্থাগুলিকে। এজন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন। জমির আবেদনের পর দু’বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে শিল্প সংস্থাগুলি। এদিকে, সময়মতো জমি না মেলায় প্রস্তাবিত প্রকল্পের খরচ দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প সংস্থার কর্তারা। ওই সংস্থাগুলি এইচডিএ-র ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই জমি কিনতে রাজি। কিন্তু দ্রুত জমি না পেলে বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় তারা পিছিয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে একাধিক সংস্থা। জমি হস্তান্তরের জন্য শিল্প সংস্থাগুলি একাধিকবার এইচডিএ-র কাছে দরবার করেছে। কারণ ওই জমির জন্য প্রথমে এইচডিএ-র কাছেই আবেদন করেছে শিল্প সংস্থা। এইচডিএ-র বোর্ড মিটিংয়ে আবেদনগুলি পাশ হওয়ার পরই রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

আজ, মঙ্গলবার হলদিয়ায় শিল্প সংস্থাগুলিকে নিয়ে ‘সিনার্জি মিট’-এর আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। এদিনের মিটিংয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত শিল্পের জন্য জমি চেয়ে সংস্থাগুলি সরব হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তারা রাজ্য সরকারের কাছে এবিষয়ে বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছে। গত বছর সেপ্টেম্বরের প্রশাসনিক মিটিংয়েও কয়েকটি শিল্প সংস্থা এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি হলদিয়ায় এইচডিএ-র একটি অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত জমি চেয়ে বার্তা দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। ওইসময় এইচডিএ-র চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর সংস্থাগুলির উদ্দেশে বলেন, অনেকগুলি শিল্প সংস্থা জমি চেয়েছে। অনেকদিন ধরে সেগুলি বিলম্বিত হয়েছে। এজন্য কাউকে দোষারোপ করা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে একটি টেকনিক্যাল ত্রুটি থেকে গিয়েছিল। ওইদিন মিটিংয়ে শিল্পকর্তাদের আশ্বস্ত করে দ্রুত অনুমোদনের বার্তা দিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়টি রাজ্যের স্পেশাল টিম দেখছে বলে জানান। শিল্পকর্তারা বলেন, এপ্রিল মাসে মন্ত্রীর ওই বার্তা পেয়ে আশ্বস্ত হয়েছিলেন সবাই। কিন্তু দু’মাসে এনিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। তাঁদের আক্ষেপ, অন্যান্য জেলায় নতুন প্রকল্পে অনুমোদন দিচ্ছে রাজ্য, কিন্তু হলদিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন আটকে রয়েছে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ায় শিল্প সংস্থাগুলি প্রকল্প গড়লে জমির দাম বাবদ রাজ্যের ভাঁড়ারে প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা জমা পড়বে। এরমধ্যে হলদিয়া আইওসি রিফাইনারির প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য জমির লিজের মূল্যও রয়েছে। আইওসি সহ ৩২টি সংস্থার মোট ২৩২ একর জমির আবেদন অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। আইওসির ২৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার দু’দফায় ১০৪ একর জমি অনুমোদন করেছে দু’বছর আগে। বাকি ১৩০ একর জমির অনুমোদন গত দু’বছরেও মেলেনি। এরফলে প্রস্তাবিত ৩ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার প্রকল্প থমকে রয়েছে। আইওসি বাদ দিলে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ হবে পেট্র-রসায়ন ক্ষেত্রে। এজিস লজিস্টিকস প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে পেট্রলিয়াম স্টোরেজ এন্ড হ্যান্ডলিং ইউনিট তৈরি করবে। ওই সংস্থাটি সাড়ে ১৬ একর জমির জন্য হন্যে হয়ে দু’বছর ধরে ঘুরে ঘুরে বিরক্ত। পতঞ্জলি ফুড প্রোডাক্টস ৩০০ কোটি বিনিয়োগ করে কারখানার সম্প্রসারণের জন্য আরও ১৫ একর জমি চাইছে। জমির জন্য ঘুরতে ঘুরতে বিরক্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। শিল্প সংস্থাগুলির বক্তব্য, বন্দরের সুবিধে থাকায় সবাই বিনিয়োগ করতে চাইছে। বেশি দাম দিয়ে জমি কিনেও শিল্প গড়তে চাইছে। এজন্য রাজ্যের সহযোগিতা আশা করছি। এইচডিএ চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর বলেন, রাজ্যের সঙ্গে এবিষয়ে কথা চলছে, শিল্পের জন্য সুখবর মিলবে আশা করছি।

No comments