আতঙ্কিত হলদিয়ার বন্দরের ঠিকা শ্রমিকরা? আন্দোলনে নাওয়ার ডাক দিলেন - প্রদীপযেমন কথা তেমন কাজ ১লা আগস্ট থেকে শুরু হয়ে যাবে বন্দরের ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকদের নো ওয়ার্ক নো পে। হলদিয়া নিউজে খবরের জেরে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেছিলেন…
আতঙ্কিত হলদিয়ার বন্দরের ঠিকা শ্রমিকরা? আন্দোলনে নাওয়ার ডাক দিলেন - প্রদীপ
যেমন কথা তেমন কাজ ১লা আগস্ট থেকে শুরু হয়ে যাবে বন্দরের ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকদের নো ওয়ার্ক নো পে। হলদিয়া নিউজে খবরের জেরে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। কিন্তু মাস যত শেষের দিকে আসছিল শ্রমিকদের মধ্যে একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। অবশেষে বাস্তবায়িত হতেই শ্রমিকরা নড়েচড়ে বসলেন আন্দোলনে নামলেন। দুপুর থেকে প্রায় বন্দরের কাজ বন্ধ হয়ে যায়, শ্রমিকরা মিছিল করে প্রতিবাদ জানায় কারণ গত কয়েকদিন আগেই একটি নোটিশ জারি করা হয় এ এম এন্টারপ্রাইজ এর উদ্যোগে। বন্দরের কাজের পরিস্থিতি জন্য সমস্ত শ্রমিকদের পহেলা আগস্ট থেকে এই সিরিয়াল অনুযায়ী বুকিং দেওয়া হবে। গত মাসে ৫৫ জন শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছিল আর সে নিয়েই শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিএম অফিসে আলোচনায় বসেন শ্রমিক প্রতিনিধি এবং শাসকদলের কোর কমিটি। সেখান থেকে আলোচনা হয় পহেলা আগস্ট থেকে ৫৫ জন শ্রমিক কাজে যুক্ত হবেন এবং তারা নো - ওয়ার্ক নো- পে পদ্ধতিতে কাজে বুকিং পাবেন। সেই নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস ও সিআইটিইউ তারা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বিএমএস রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলেন বর্তমান শাসক দল যে কালচার আনতে চাইছে তা আগামী দিনে হলদিয়া শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে চলেছে। একদিকে ২০১১ সালের পর নতুন কোন কারখানা হয়নি। তার ফলেই নতুন প্রজন্ম যারা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পাশ করে কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজের খোঁজে চলে যাচ্ছেন। তবে তিনি আরো জানিয়েছিলেন 55 জন নয় 580 জন শ্রমিকের পহেলা আগস্ট থেকে নোওয়ার্ক নো পে এই পদ্ধতি চালু করতে চাইছেন শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন। তবে এটাকে মেনে নেওয়া যাবে না সমস্ত শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করেছিলেন। যেমন কথা তেমন কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল পহেলা আগস্ট থেকে নোওয়ার্ক নো- পে পদ্ধতিতে কাজের বুকিং কিন্তু শ্রমিকরা জানতে পেরেই তারা আন্দোলনে নামলেন তার ফলেই কোম্পানি ম্যানেজমেন্ট বাধ্য হলেন পিছিয়ে আসতে। সুত্রে জানা যায় কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা শাসকের উপস্থিতিতে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং ম্যানেজমেন্ট কে নিয়ে বসেই আলোচনা হবে। এই সিদ্ধান্ত কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ভারতীয় মজদুর সংঘ রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী ও অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি চীনাংশু গোস্বামী তিনি বলেন লেবার কমিশন অফিস রয়েছে শ্রমিকদের সমস্যা দেখার জন্য সেখানে শাসকদলের রাজ্য সভাপতি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে লেবার কমিশন অফিস বাদ দিয়ে কেন জেলা শাসক দপ্তরে বসা হচ্ছে? প্রদীপ বিজলী তিনি সমস্ত শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বললেন যে আমিও একজন বন্দরের শ্রমিক নো ওয়ার্ক নো পে এই কালচার শাসক দল আনতে চাইছে। কোনভাবেই এটা করা যাবে না আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি এই কালচার বন্দরে চালু হলে সারা হলদিয়াতে চালু হয়ে যাবে । তার ফলেই শ্রমিকরা না খেতে পেয়ে মরবে । এই কালচার বন্ধ করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানালেন।
No comments