বাড়ছে কংসাবতীর জলস্তর। পাঁশকুড়া এলাকায় বন্যাতঙ্ক। গত এক বছরেও নদী সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ! সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক: গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,বাঁকুড়া,পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলাগুল…
বাড়ছে কংসাবতীর জলস্তর। পাঁশকুড়া এলাকায় বন্যাতঙ্ক। গত এক বছরেও নদী সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ!
সংবাদদাতা-নারায়ণ চন্দ্র নায়ক: গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,বাঁকুড়া,পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির কারণে কাঁসাই নদীর জল পাঁশকুড়ার এক্সট্রিম ডেঞ্জার লেভেলের উপর দিয়ে বইছে। ইতিমধ্যে পাঁশকুড়া ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জনসাধারণকে সর্বদা সতর্ক থাকার বার্তাও দিয়েছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,গত বর্ষায় কাঁসাই নদীবাঁধের জঁদরা-মানুর-গড়পুরুষোত্তমপুর এই তিন জায়গায় ভয়াবহ ভাঙনের ফলে জেলার পাঁশকুড়া-কোলাঘাট-শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়েছিল। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ চার মাস ধরে জলবন্দী ছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় গত বন্যার পর এক বছর অতিক্রান্ত হলেও কাঁসাই নদীর জল বহন করা বাড়ানোর লক্ষ্যে নদী সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি জেলা প্রশাসন ও সেচ দপ্তর। নারায়ণবাবুর অভিযোগ,নো কষ্ট পদ্ধতিতে ১৬ কিমি দীর্ঘ গঙ্গাখালি খাল দু বছর কাটার পরও এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। খাল সংস্কারের যদি এই অবস্থা হয়,নো কষ্ট পদ্ধতিতে নদী সংস্কার কি করে হবে তা আমাদের জানা নেই। তবে এক বছরেও নদী সংস্কার করার কোনও পরিকল্পনাই নিতে পারল না সেচ ও প্রশাসন দপ্তর। নারায়ণবাবুর অভিযোগ,গত এক বছরে নদী পূর্ণ সংস্কারের যদি উদ্যোগে নেওয়া হোত, তাহলে এই বর্ষাতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে এভাবে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হতো না।
No comments