হলদিয়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানার বিরুদ্ধে ব্যাপক জল দূষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর বাসুলিয়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কারখানায় সঠিকভাবে বর্জ্য প্রক্র…
হলদিয়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানার বিরুদ্ধে ব্যাপক জল দূষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর বাসুলিয়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কারখানায় সঠিকভাবে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে না। দূষিত রাসায়নিক মেশা জল ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হতেই উপচে গিয়ে দূষিত জল ঢুকছে পুকুরে, খালে গিয়েও মিশছে। ফলে পুকুরের জল ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে নতুন করে। জমিতে চাষ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন এলাকার মানুষজন। এদিন বাসিন্দাদের পাশে দাড়িয়েছে বিজ্ঞান মঞ্চও। স্থানীয়রা বলেন, ওই বর্জ্য কারখানা চালাচ্ছে রামকি সংস্থা। পুরসভার বর্জ্য ছাড়াও, কারখানার কঠিন বর্জ্য এনে প্রক্রিয়াকরণ করে। কারখানার বর্জ্যের মধ্যে রাসায়নিক বর্জ্য থাকে। সেগুলি মেশিনে প্রক্রিয়াকরণ করে তবেই ডিসপোজ করা নিয়ম। অভিযোগ, বাড়তি খরচের ভয়ে সেই কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে বর্জ্য জল ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর বাসুলিয়ার বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাসায়নিক বর্জ্য ছড়িয়ে দূষণের অভিযোগ রয়েছে। বর্ষার সময় তা আরও বেড়ে যায়। দূষণ পর্ষদ ও পুরসভাকে জানিয়েও লাভ হয়নি। এনিয়ে বাসিন্দারা একাধিকবার রামকির গেট ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর থেকে দূষিত জল হোড়খালি ক্যানেলে ঢুকতে শুরু করে। স্থানীয়রা টিন দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করছে। ওই জল ওয়ার্ড ছাড়িয়ে পঞ্চায়েত এলাকার জমি, পুকুর ও খালেও ছড়িয়ে পড়ছে। বিজ্ঞান কর্মী নকুল ঘাটি বলেন, আমরা সংস্থার বিরোধিতা করছি না। তাদের সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণের জন্য দাবি জানিয়েছি। প্রশাসনকেও আমরা পুনরায় চিঠি করছি। কোনও পদক্ষেপ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন মানুষ। তবে দূষণ নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি রামকির কর্মকর্তারা। হলদিয়ার এসডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয় নিয়ে রামকির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলছি।
No comments