বিশ্বের ১৬ ০০ কোটি পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের কব্জায় !ফেসবুক বা গুগল কিংবা কোন ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পাসওয়ার্ড ব্যবহার এখন বাধ্যতামূলক কিন্তু সেই তালার চাবি যদি হারিয়ে যায়? এমনটাই ঘটেছে ডিজিটাল দুনিয়া ফেসবু…
বিশ্বের ১৬ ০০ কোটি পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের কব্জায় !
ফেসবুক বা গুগল কিংবা কোন ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পাসওয়ার্ড ব্যবহার এখন বাধ্যতামূলক কিন্তু সেই তালার চাবি যদি হারিয়ে যায়? এমনটাই ঘটেছে ডিজিটাল দুনিয়া ফেসবুক হোক বা google কিংবা কোন ব্যাংকিং অ্যাপ- ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার এখন বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই তালার চাবি যদি হারিয়ে যায়? এমনটাই ঘটেছে ডিজিটাল দুনিয়া। হ্যাকারদের সৌজন্যে কোটি কোটি পাসওয়ার্ড সহ বিভিন্ন ধরনের লগইন তথ্য এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে ডাক ওয়েবে। যে কেউ যেকোনো সময় সেই তথ্য হাতে নিয়ে কব্জা করতে পারে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট। নিমেষে হাতিয়ে নিতে পারে ব্যাংকে জমিয়ে রাখা কষ্টার্জিত টাকা। কত মানুষের পাসওয়ার্ড এভাবেই হ্যাকাররা কব্জা করেছে? সংসারটা অবিশ্বাস্য কয়েক লক্ষ বা কয়েক কোটি নয়, সারা বিশ্বে এক হাজার ছয়শ কোটি পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সেগুলি অ্যাপল ফেসবুক google টেলিগ্রামের মত বিভিন্ন প্লাটফর্মে। এমনকি সরকারি বিভিন্ন পোর্টাল এর মধ্যে রয়েছে সাইবার নিউজ নামে একটি সংস্থা এই নিয়ে তদন্ত চালায়। তাদের তদন্ত রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ফোর্বস পত্রিকায়। তাতেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ইন্টারনেটের ইতিহাসে সাইবার সুরক্ষার এত বড় গলদ এর আগে কোনদিন সামনে আসেনি। ব্যক্তি থেকে শুরু করে বহুজাতিক সংস্থা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকলেই এর শিকার। বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিপুল পরিমাণ তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া ফলাফল কি হতে পারে তা এখন কল্পনাও করা যাচ্ছে না ফিশিং অ্যাটাক বা একাউন্ট দখল তো বটেই হ্যাকাররা আরও বড় কোন সাইবার হামলাও চালাতে পারে। আশঙ্কা বাড়িয়ে তাদের মন্তব্য এটা শুধু তথ্য ফাঁস নয়, বিশ্বজুড়ে সাইবার অপরাধ চালানোর জন্য নীল নকশা। কিন্তু এইভাবে পাসওয়ার্ডের তথ্য ফাঁস হল? সাইবার নিউজ এর গবেষকরা জানিয়েছেন হ্যাকাররা বিভিন্ন উপায়ে ফোনে বা কম্পিউটারে মেন অরে লিংক পাঠাচ্ছে ভুলক্রমে সেই লিংকে ক্লিক করলেই হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে চলে যাচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য। তারপর তা চলে যাচ্ছে ডাক ওয়েবে চলতি বছর শুরু থেকে নেট দুনিয়া নজরদারি শুরু হয়। গত মে মাসে সাড়ে ১৮ কোটি তথ্য সম্বলিত একটি রহস্যজনক ডেকা বেছে সন্ধান পান এক সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ। কিন্তু তা ছিল হিমশৈলের চূরা মাত্র পরে এর এরকম ৩০ টি ডেকা সেটের সন্ধান মিলে তার প্রত্যেকটি কোটি কোটি লগইন তথ্যে ভর্তি সব মিলিয়ে দেখা যায় এই তথ্যের সংখ্যা এক হাজার ৬০০ কোটি। গবেষকরা জানিয়েছেন পুরনো তথ্য আবার ফিরে এসেছে এমনটা নয় এর পুরোটাই একেবারে নতুন ওয়েবসাইটের লিংক ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড এক্কেবারে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ডাক পেঁপে সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান রয়েছে এমন যে কেউ অল্প টাকার বিনিময়ে সেগুলি সহজেই কিনে নিতে পারে। তাহলে ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষার উপায় কি? google ইতিমধ্যে ব্যবহারকারীদের জানিয়েছে প্রচলিত পাসোয়ার বা টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন নেই বদলে পাস কি ব্যবহার করুন। ফিসিং রুখতে পাঁচটি বেশি কার্যকর। এসএমএস বা ইমেইলে পাঠানো কোন লিংকে ক্লিক করার আগে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সাইবার সুরক্ষা বিশারদরা জানিয়েছেন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেও তা যেন যথেষ্ট জটিল হয়।
No comments