বিনা নোটিশে শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে উত্তাল বন্দর!হলদিয়া বন্দরের একটি স্টিভেডরিং এজেন্সি থেকে ৫০ জন শ্রমিককে বিনা নোটিশে ছাঁটাই করার অভিযোগ উঠেছে। ছাঁটাই শ্রমিকরা বন্দরে ওই বেসরকারি সংস্থায় ১৮-২০ বছর ধরে কর্মরত। শ্রমিকদের অভিযোগ, কোম্প…
বিনা নোটিশে শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে উত্তাল বন্দর!
হলদিয়া বন্দরের একটি স্টিভেডরিং এজেন্সি থেকে ৫০ জন শ্রমিককে বিনা নোটিশে ছাঁটাই করার অভিযোগ উঠেছে। ছাঁটাই শ্রমিকরা বন্দরে ওই বেসরকারি সংস্থায় ১৮-২০ বছর ধরে কর্মরত। শ্রমিকদের অভিযোগ, কোম্পানি কোনও আলোচনা বা আগাম নোটিশ ছাড়াই তাঁদের গেটপাশ ব্লক করে দিয়েছে। ফলে তাঁরা বন্দরে ডিউটি সাইটে যেতে পারছেন না। এভাবে ছাঁটাইয়ের ফলে অথৈ জলে পড়েছে শ্রমিকদের পরিবার। জানা গিয়েছে, বন্দরের স্টিভেডরিং এজেন্সি এএম এন্টারপ্রাইজ বিনা নোটিশে ৫০জন হেল্পারকে কাজ থেকে ছাঁটাই করেছে। এদের মধ্যে ২৫জন ডাম্পারের হেল্পার এবং বাকি ২৫ জন পে লোডারের মতো ইক্যুইমেন্ট সাইটের হেল্পার। এরা দক্ষ শ্রমিকের মজুরি পেতেন। কাজ হারানো শ্রমিক নন্দলাল গুড়িয়া অভিযোগ, ওই সংস্থা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক বাদ দিয়ে সাপ্লাই লেবার বা ডেইলি লেবারকে দিয়ে কাজ করাতে চাইছে। ওই শ্রমিকরা ইউনিয়নভুক্ত হওয়ায় বেতনচুক্তির মাধ্যমে তাদের মজুরি ফিক্সড রয়েছে। সাপ্লাই লেবার হলে মজুরির নির্দিষ্ট রেট থাকবে না। অভিযোগ, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করতেই ছাঁটাই করেছে ওই সংস্থা। ৮ মাসের বেশি সময় ধরে নতুন বেতন চুক্তিও বকেয়া রয়েছে ওই সংস্থার বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা,ওই সংস্থা তার পুরনো কোম্পানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারে। সেজন্যই ধাপে ধাপে ড্রাইভার ও হেল্পারদের ছাঁটাইয়ের দিকে এগোচ্ছে। সবমিলিয়ে সংস্থার দেড় শতাধিক সিওডিভুক্ত শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। ওই ঘটনায় উত্তাল বন্দরের শ্রমিক মহল। গত বৃহস্পতিবার ১২ ই জুন কাজে যাওয়ার সময় শ্রমিকরা গেটপাশ ব্লক করা হয়েছে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপর তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের ছাটাই করা হয়েছে। বেশকিছু শ্রমিককে ডক সাইটে ঢোকার পর কাজে বাধা দেওয়া হয়। শেষমেস রবিবার ওই শ্রমিকরা বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করে বিনা নোটিশে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে শাসকদলের কোর কমিটির সঙ্গেও যোগাযোগ করেন।এএম এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার অর্নব জানার দাবি, ৫০ জন শ্রমিককে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে ছাঁটাই করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরা বাড়তি হয়ে গিয়েছিলেন, সেজন্য সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের রাজ্য সভাপতি ও বন্দরের নেতা প্রদীপ বিজলি বলেন, কোনও নোটিশ ছাড়াই এভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করা নিয়ম বিরুদ্ধ। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য শ্রম দপ্তরে অভিযোগ করছি। বিধায়ক বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ শোনার পর এএম এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে কথা বলেছি। বুধবার এবিষয়ে সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হবে। ওই শ্রমিকদের পুনরায় কাজে ফেরানোর আবেদন করেছি। সি আই টিইউ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন সমস্ত শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বর্তমান শাসক দলের সময়কালে ঠিকাদার সংস্থা স্বর্গরাজ্য পেয়েছে। বিএমএস রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলেন সংগঠনের নেতা বলে এক কর্মীরা করে আর এক। কোর কমিটি কাজে কোন দলীয় কর্মী হস্তক্ষেপ করতে না বলেছিলেন কিন্তু দলবদুল বিধায়ক কোর কমিটি না থাকা সত্ত্বেও তিনি চলে গেলেন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে অফিসে আর শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন না কোর কমিটি। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে কোর কমিটি ওই কন্টাকটারের সঙ্গে সেটাপ করে নিয়েছে। আর সেই জন্য দলবদুল এমএলএ কে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন সমস্ত শ্রমিকদের ওই সকল নেতাদের প্রলোভনে না পড়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।
No comments