আবাসনে জল নেই, হাসপাতালে সুপারকে ঘেরাও করে নার্সদের বিক্ষোভ! হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে সুপারকে ঘেরাও করে জলের জন্য বিক্ষোভদেখালেন নার্সরা। তাঁদের অভিযোগ, আবাসনে কয়েকদিন ধরে জল নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি। এদি…
আবাসনে জল নেই, হাসপাতালে সুপারকে ঘেরাও করে নার্সদের বিক্ষোভ!
হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে সুপারকে ঘেরাও করে জলের জন্য বিক্ষোভদেখালেন নার্সরা। তাঁদের অভিযোগ, আবাসনে কয়েকদিন ধরে জল নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি। এদিন সকাল থেকে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। আবাসনগুলি কার্যত জল শূন্য হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন পরিবারগুলি। শেষমেস নার্স ও তাঁদের পরিবারের লোকজন বেলা সাড়ে ১০টা হাসপাতালে এসে সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে সুপারের সঙ্গে পিডব্লুডির কথাবার্তার পর পাইপলাইন সারানোর আশ্বাস পেতে বিক্ষোভ ওঠে। ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টালবাহানার অভিযোগ তুলেছেন নার্সরা। প্রসঙ্গত, এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায়ের কাছে অভিযোগ করেছিলেন নার্সরা। সুপারের সামনেই সুপারের বিরুদ্ধে সিএমওএইচের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। নার্সরা বলেন, হাসপাতালে নার্সদের আবাসনে গত চার মাস ধরে জলের সমস্যা হচ্ছে। ওই আবাসন এলাকায় রিজার্ভার পর্যন্ত জল পৌঁছে দেয় এইচডিএ। এরপর ওই রিজার্ভার থেকে নার্সদের আবাসনের রিজার্ভারে ঠিকমতো জল পৌঁছয় না দু'টি কারণে। প্রথমত, চল্লিশ বছরের পুরনো পাইপলাইন মেরামত হয়নি। সেখানে লিকেজের ফলে জল ওঠে না। তাছাড়া জল রিজার্ভারে তোলার জন্য পাম্পমেশিনও বিকল হয়ে রয়েছে। পিডব্লুডির দাবি, এই মেরামতের জন্য তারা অনেকদিন আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এস্টিমেট জমা করেছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তারা এবিষয়ে কিছু জানে না। বিক্ষোভের পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। সিএমওএইচ বলেন, হাসপাতাল আবাসনের এই সমস্যার কথা নার্সরা বলেছেন। এনিয়ে কথা বলছি। পিডব্লুডির ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এদিন দুপুর নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আপৎকালীন ভিত্তিতে কাজ দুপুর থেকে কাজ হয়েছে। আবাসনের বাসিন্দারা বলেন, আপাতত জোড়াতালি দিয়ে কাজ হয়েছে। কোনও রকমে জলের ব্যবস্থা হয়েছো। আমরা স্থায়ী সমাধান চাইছি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নার্স আবাসনের জলের পাইপলাইন সারাতে ৮লক্ষ টাকার এস্টিমেট দিয়েছে পিডব্লুডি। বাজেট অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে। তবে কবে কাজ হবে কেউ জানেন না।
No comments