Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নন্দীগ্রামে জাগ্রত মহারুদ্র সিদ্ধনাথ শিব ঠাকুর জীউ মন্দির, মেলে শান্তি, পূরণ হয় মনস্কামনা!

নন্দীগ্রামে জাগ্রত মহারুদ্র সিদ্ধনাথ শিব ঠাকুর জীউ মন্দির, মেলে শান্তি, পূরণ হয় মনস্কামনা!
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত রেয়াপাড়া অবস্থিত সিদ্ধনাথ শিব ঠাকুর মন্দির। লোকাচারে শোনা যায় প্রতি বৎসর উচ্চতায় ব…

 




নন্দীগ্রামে জাগ্রত মহারুদ্র সিদ্ধনাথ শিব ঠাকুর জীউ মন্দির, মেলে শান্তি, পূরণ হয় মনস্কামনা!


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত রেয়াপাড়া অবস্থিত সিদ্ধনাথ শিব ঠাকুর মন্দির। লোকাচারে শোনা যায় প্রতি বৎসর উচ্চতায় বাড়ে এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ এক ধান এক ধান করে।

"তোমার নাম আমার নাম ভুলতে পারিনা নন্দীগ্রাম" জমি আন্দোলনের অন্যতম তেভাগা আন্দোলনের সংগ্রামী নন্দীগ্রাম। এই নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতির পরিবর্তন ঘটিয়েছিল। তারও থেকে আরও একটি বড় পরিচয় এই নন্দীগ্রামে রয়েছে জানকীনাথ মন্দির , এছাড়াও রয়েছে বহু প্রাচীন জাগ্রত শিব মন্দির। কথিত রয়েছে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল বাংলার সেন যুগে। এই মন্দিরটি রয়েছে নন্দীগ্রাম থানার অন্তর্গত রেয়া পাড়ায়। কথিত আছে চাঁদ সদাগর যখন বাণিজ্যে যাচ্ছিলেন ঠিক সমুদ্রের ধারে পলি পড়ে গিয়েছিল। দূর থেকে যেন একটি মূর্তি দেখতে পেয়েছিলেন সেই মূর্তি দেখে চাঁদ সদাগর এসেছিলেন এবং বালি খুলে দেখা গেল একটি শিবলিঙ্গ চাঁদ সদাগরের নির্দেশেই বাবা সিদ্ধেশ্বর শিবঠাকুরের আদি মন্দির স্বয়ং বিশ্বকর্মা তৈরি করেছিলেন। তবে এই মন্দির পুরোটাই কাল্পনিক কিভাবে তৈরি হয়েছে তা এলাকার মানুষ কেউ বলতে পারলেন না। তবে এই মন্দির কে কেন্দ্র করে লাড্ মন্দির তারই সাথে বিভিন্ন দেবদেবী মন্দির তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার মানুষজনের সহযোগিতা নিয়ে মন্দির তৈরি হয়েছে। উল্লেখ রয়েছে, মেদিনীপুরের কর্ণ ঘরের রাজা যশবন্ত সিং এর রাজসভার কবি রামেশ্বর ভট্টাচার্য ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে শিবসংকৃতন গীতিকাব্য লিখেছিলেন সেই গীতিকাব্যে রেয়াপাড়া কে তিনি পোতাশ্রয় বা বন্দর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নন্দীগ্রাম রেয়াপাড়া তেই রয়েছে অতি জাগ্রত শ্রী শ্রী মহারুদ্র সিদ্ধনাথ শিব ঠাকুর জিউর মন্দির। দ্বাদশ শতকে মাঝামাঝি সময়ে গড়ে ওঠা এই মন্দির দৈর্ঘ্য ২৩ ফুট উচ্চতা ৫০ ফুট কথিত আছে এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ প্রতিবছর একটি ধানের সমান উচ্চতায় বৃদ্ধি পায় । অতি জাগ্রত মন্দির সেজন্য সারা বছর ধরে এই মন্দির চত্বরে ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। মন্দির সূত্রে জানা যায় জাগ্রত সিদ্ধনাথ শিব ঠাকুর পাতাল থেকে উঠেছে।  বর্ষার সাময় পুকুরে জল বেড়ে গেলেই মন্দিরের শিবলিঙ্গ জল ভর্তি হয়ে যায়। এই মন্দিরে মনস্কামনা পূরণের মন্দির ভক্তদের বিশ্বাস মহারুদ্র সিদ্ধনাথ শিব ঠাকুর জিউর কাছে মানসিক করলেই  মনস্কামনা পূর্ণ হয়। খালি হাতে কেউ ফিরে যান না। শুধু কি সাধারণ মানুষ এই মন্দিরে এসেছেন? এসেছেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বাবা জাগ্রত হওয়ার কারণে রেয়াপাড়ার এই শিব মন্দিরে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। মন্দিরের পাশে রয়েছে পুকুর স্থানীয়দের বিশ্বাস এই পুকুর আসলে শিবের রসকুণ্ডু এই পুকুরে সৃষ্টি দিয়ে স্থানীয় স্তরে বহু কাহিনী রয়েছে। পুকুরটির পাড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি পুজো সামগ্রী দোকান তাই পুজোর সামগ্রী পেতে ভক্তদের অসুবিধা হয় না। জাগ্রত সিদ্ধনাথ  শিব ঠাকুরের মন্দির এর আশেপাশে রয়েছে  শ্রী শ্রী শ্রীমৎ দক্ষিণা কালী মায়ের মূর্তি রয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর ও রাম সীতা মূর্তি। মন্দিরে প্রবেশ পথেই সামনেই রয়েছে সিদ্ধিদাতা গণেশ। এছাড়া সিদ্ধেশ্বর বাবার মন্দিরের পাশেই রয়েছে দুর্গা মন্ডপেই মা দুর্গার মূর্তি।

কিভাবে যাবেন ভাবছেন? জাতীয় সড়ক কোলাঘাট - হলদিয়া ১১৬ নন্দকুমার থেকে দীঘা গামী ১১৬ বি রাস্তা হয়ে চন্ডিপুর বাস স্ট্যান্ড। সেখান থেকে বাসে চেপে আসতে হয় রেয়াপাড়া মন্দির কল্যাণ সমিতির ব্যবস্থাপনায় রয়েছে দোতলা এসি গেস্ট হাউস নাম রেয়াপাড়া শিব মন্দির অতিথি নিবাস। তাহলে দূর দূরান্তের ভক্তদের এখানে থাকতে কোনো অসুবিধা হয় না। মন্দিরে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান উপনয়ন বিবাহ এবং গ্রহ দোষ কাটানো হয়ে থাকে এই মন্দিরের বর্তমান ৯জন পুরোহিত রয়েছেন। তবে বিশেষ করে সোমবার সিদ্ধনাথ শিব ঠাকুর জীউর মন্দিরে ভিড় হয়ে থাকে। এখানে শিবরাত্রি থেকে প্রায় ১৫ দিনের মেলা বসে যায় ।শ্রাবণ মাস মানেই বাবা  শিবের মাস সারা মাস ধরে বহু ভক্ত আছেন স্থানীয় নদী থেকে গঙ্গাজল আয়ন করে বাবার মাথায় ঢালেন। অনেকেই রোগ মুক্তি হওয়ার জন্য মানত করেন এই মন্দিরে এসে। বাবা সিদ্ধ নাথ সকলে মনোস্ক কামনা পূরণ করেন।

No comments