ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করতে তৎপর নীরব দর্শক বাজার কমিটি! পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রানীচক থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত কয়েকটি চৌমোড় সংস্কার হয়েছে কেবলমাত্র ব্রজলালচক হাই রোড এই মোড় সংস্কার হয়নি। কোটি টাকা খরচ করে ব্রজলালচক থেকে চৈতন্যপুর এই …
ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করতে তৎপর নীরব দর্শক বাজার কমিটি!
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রানীচক থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত কয়েকটি চৌমোড় সংস্কার হয়েছে কেবলমাত্র ব্রজলালচক হাই রোড এই মোড় সংস্কার হয়নি। কোটি টাকা খরচ করে ব্রজলালচক থেকে চৈতন্যপুর এই রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে কিন্তু রাস্তার দুই ধারেই রয়েছে অবৈধ বিল্ডিং। জেলা পরিষদের জায়গায় চুক্তি লঙ্ঘন করে তৈরি হয়েছে অট্টালিকা। বিশেষ সূত্রে জানা যায় গত ২০২৪ থেকে এখনো পর্যন্ত অনেক ব্যবসায়ী তারা চুক্তি করেননি। তারই মধ্যেই এক ছোট ব্যবসায়ীকে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করেছেন মালিকপক্ষ। নীরব দর্শক বাপুজি বাজার কমিটির একাংশ। যদিও বাজার কমিটির সম্পাদক লালুমহন কপাট জানালেন দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছর ধরে ওই জায়গা ভাড়া নিয়ে একটি আলুর ব্যবসা করতেন। রাস্তা সংস্কার হয়েছে তাই রায়ত জায়গা বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দেন সেই ছোট ব্যবসায়ী এক ডিসিমল জায়গা কিনে নেবারও অঙ্গীকার করেন। যদিও দীর্ঘদিন প্রায় তিন পুরুষ তারা ঐ জায়গায় ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন তা সত্বেও চলতি বাজার মূল্য হিসেবে সেই জায়গা কিনে নিতে রাজি হন । কিন্তু অগ্রিম অর্থ দিয়ে বায়না করা হয়। তারই মধ্যেই জায়গা হাত বদল হয়ে যায়। সেই নিয়েই সমস্যা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ব্রজলালচক হাই রোড মোড় থেকে চৈতন্যপুর গ্রামী রাস্তার ডানদিকে রেবা কপাটের জায়গা রয়েছে । সেই জায়গায় দীর্ঘদিন ভাড়া হিসেবে আলুর ব্যবসা করতেন যদিও রায়ত জায়গায় তার গোডাউন ছিল কিন্তু রাস্তার উপরেই আলু ঢেলে বিক্রি করতেন। রাস্তা সম্প্রসারণ হয়েছে, তাই আর রাস্তার উপরে আলু ঢালা সম্ভব নয়। আর সেই জন্যই তার নিজস্ব এক ডিসিমল জায়গা কিনে নেওয়ার মালিকপক্ষের প্রস্তাব তিনি রাজি হয়ে যান । ইতিমধ্যে প্রায় দু লক্ষ টাকা অগ্রিম ও দেওয়া হয় কিন্তু তারপরেই সমস্যা একের পর এক। ইতিমধ্যে সেই রায়ত জায়গার উপর গড়ে উঠেছে বিল্ডিং তারই এক পাশেই এক ডিসিমল জায়গা প্রায় ২২ লক্ষ টাকা দামে কথা হয় । দু লক্ষ টাকা জমা দেওয়া হয় অগ্রিম হিসেবে এবং এক বৎসরের মধ্যে রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু তারই মধ্যেই সেই জায়গা হাত বদল হয়ে যায় আর হাত বদল হওয়ার পরেই সেই ভাড়াটে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যদিও মালিকপক্ষ রাজি হয়েছেন যে হ্যাঁ আমি টাকা অগ্রিম নিয়েছি কিন্তু ওখানে আমি কোন মতেই বাড়াটা হিসেবে রাখতে রাজি নই আর জায়গা বিক্রি করতেও রাজি নই। তা হলে ঐ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যাবে কোথায় ? তাহলে কি সে ব্যবসা করতে পারবে না। অধিকাংশ দোকানদার জেলা পরিষদের কাছ থেকে ভাড়া হিসেবে রয়েছেন যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের চুক্তিপত্রের ধারাতে বলা হয়েছে ওই জায়গায় স্থায়ী ঢালাই কোন বিল্ডিং করা যাবে না । কিন্তু দেখা যায় জেলা পরিষদের জায়গার উপরেই চুক্তি লংঘন করে একতলা থেকে তিন তলা পর্যন্ত বিল্ডিং হয়েছে তাহলে কি জেলা পরিষদ এবার ওই সকল ভাড়াটিয়াদেরও উচ্ছেদ করবে? যদিও ছোট ব্যবসায়ী ভাড়ায় ছিলেন বলে তাকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করে গ্রহণ করেছেন। যদিও এই এলাকার বাজার কমিটি তারা কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছেন। যাতে ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারেন। কিন্তু কি হবে আগামী দিনে সেই নিয়ে এখন জল ঘোলা চলছে যদিও ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকানে মালিকপক্ষ বেশ কয়েকবার চাবি তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও বাজার কমিটি ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পক্ষে থাকায় একদিন বাজার ধর্মঘট ডেকেছিলেন। ভবানীপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় সেই ধর্মঘট উঠে এবং সুষ্ঠু মীমাংসার পথে আলোচনা হয়। কিন্তু তারই মধ্যে পুনরায় ব্যবসায়িক দোকানে চাবি তালা লাগিয়ে দিলেন মালিকপক্ষ তাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল সৃষ্টি হয়। যদিও বাজার কমিটি স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি সেই চাবিতালা ভেঙে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা শুরু করেছেন। বাজার কমিটির এক সদস্য বলেন যদি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে এখান থেকে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করা হয় তাহলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের জায়গায় যারা লিজ নিয়ে বেআইনিভাবে অট্টালিকা তৈরি করেছেন তাদেরকেও এই লিজ বাতিল করতে হবে । নতুন করে যারা ব্যবসা করতে চায় তাদেরকে সেই জায়গায় দিতে হবে কারণ প্রতি দু'বছর অন্তর জেলা পরিষদের জায়গায় লিজ দেওয়া হয়। কিভাবে তারা এই লীজ জায়গার উপর বড় বড় অট্টালিকা বানালো তাহলে তারা লিজ বা এগ্রিমেন্ট কপি মানেননি । যদি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে তার ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করা হয়। তাহলে জেলা পরিষদ আগামী দিনে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য থাকবে যদিও রাজ্য সরকারের ভাড়াটিয়া আইনে বলা হয়েছে যদি এককালীন ১২ বছর কোন ব্যাক্তি তার ভাড়া দিয়ে আসেন তাহলে কিন্তু সেই ব্যক্তিকেই ঐ জায়গা বিক্রি করতে হলে প্রথম তাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাহলে এখানে উল্টো কেন। তাহলে কেন এখানে রাজ্য সরকারের যে ভাড়াটিয়া আইনকে লংঘন করছে তাহলে কি পুলিশ প্রশাসন সবই মালিকপক্ষের দিকে কেন। সত্যি কি গরীব মানুষ ভাড়া নিয়ে কিছুই ব্যবসা করতে পারবেনা। আর জেলা পরিষদের জায়গায় বড় অট্টালিকা যারা করেছেন তারা তো জোরদার জমিদার কোটিপতি তাহলে তাদেরকে উচ্ছেদ করা যাবে না। তাহলে কি শুধুই আইন ভাড়াটিয়া আইন কার্যকরী হবে বড়দের জন্য আর গরিব-দুঃখীরা তারা এই ভাড়াটিয়া আইনে মধ্যে সুফল পাবেন না সবই আগামী দিনে কি হয় সেটাই এখন দেখার।
No comments