আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: খোঁজ মিলল ব্ল্যাক বক্সেরঅবশেষে মিলল অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ। জানা গিয়েছে, মেঘানিনগরের যে মেডিক্যাল হস্টেলের উপর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমানটি ভেঙে পড়েছিল সেই বিল্ডিংয়ের ছাদেই ব্ল্যাক বক্সের …
আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: খোঁজ মিলল ব্ল্যাক বক্সের
অবশেষে মিলল অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ। জানা গিয়েছে, মেঘানিনগরের যে মেডিক্যাল হস্টেলের উপর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমানটি ভেঙে পড়েছিল সেই বিল্ডিংয়ের ছাদেই ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ মিলেছে।
অবশেষে মিলল অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ। জানা গিয়েছে, মেঘানিনগরের যে মেডিক্যাল হস্টেলের উপর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমানটি ভেঙে পড়েছিল সেই বিল্ডিংয়ের ছাদেই ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ মিলেছে। যেটি উদ্ধার করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা এএআইবি টিম। মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের শেষপ্রান্তে থাকা কমলা রঙের এই ডিভাইসটি দুর্ঘটনার তদন্তে বেশ খানিকটা সহায়তা করতে পারে। জানা যেতে পারে দুর্ঘটনার সঠিক কারণও। বোঝা যাবে দুর্ঘটনার সময় বিমানের ঠিক কী অবস্থা ছিল।
ব্ল্যাক বক্সে রয়েছে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার বা এফডিআর এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বা সিভিআর। প্রথমটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের সমস্ত প্রযুক্তিগত তথ্য রেকর্ড করা হয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয়টিতে দুই পাইলটের মধ্যে ককপিটে হওয়া কথোপকথন রেকর্ড করা হয়। ফলে উদ্ধার হওয়া এই ব্ল্যাক বক্স থেকেই সমস্ত অজানা তথ্য ও রহস্যের সমাধান করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ পাখির ধাক্কা না কী ইঞ্জিন বিকল? বিমানের দুটি ইঞ্জিনই কী বিকল হয়ে গিয়েছিল? এই সমস্ত অজানা তথ্যের খোঁজ এই ব্ল্যাক বক্স থেকেই মিলতে পারে, মত বিশেষজ্ঞদের।
অপরদিকে, আজ, শুক্রবার দুপুরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার বা ডিভিআর উদ্ধার করেছে গুজরাত এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস বা এটিএস। ব্ল্যাক বক্স পাওয়ার আগে এটিই ছিল তদন্তকারী দলের কাছে বিরাট প্রাপ্তি। তবে এবার ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ মেলায় কোন কোন অজানা তথ্য সামনে আসে সেটাই এখন দেখার। যা জানতে কার্যত মুখিয়ে রয়েছে আপামর দেশবাসী। সূত্রের খবর, সেফটি রিভিউয়ের জন্য ড্রিমলাইনার বিমানটিকে আপাতত গ্রাউন্ড করে দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ আপাতত এই বিমান আকাশে উড়বে না। ভারত-আমেরিকার মধ্যে এই বিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি বা সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও তদন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানের রক্ষণাবেক্ষণে কোনও গাফিলতি মিললে টাটার এই এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসার পরই সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিমান দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট বেরিয়ে আসবে?
No comments