Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সংস্থাকে শোকজ এইচডিএ? শিল্পের নামে জমি হাতবদল!

সংস্থাকে শোকজ  এইচডিএ? শিল্পের নামে জমি হাতবদল! শিল্প গড়ার নামে জমির হাতবদল। শুধু তাই নয়, সেই জমিতে এক ঠিকাদার সংস্থা এইচডিএকে অন্ধকারে রেখে মাটি ভরাট করে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। তা জানতে পেরেই নড়েচড়ে বসল এইচডিএ ক…

 


  সংস্থাকে শোকজ  এইচডিএ? শিল্পের নামে জমি হাতবদল!

 শিল্প গড়ার নামে জমির হাতবদল। শুধু তাই নয়, সেই জমিতে এক ঠিকাদার সংস্থা এইচডিএকে অন্ধকারে রেখে মাটি ভরাট করে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। তা জানতে পেরেই নড়েচড়ে বসল এইচডিএ কর্তৃপক্ষ। হলদিয়া শিল্পতালুকের কসবেড়িয়া মৌজার এই ঘটনায় শোকজ করা হল ইউনাইটেড ক্লোরো অর্গানিক প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক শিল্প সংস্থাকে। কসবেড়িয়া মৌজার এই জায়গায় রয়েছে একটি আইসিডিএস কেন্দ্র। গত পাঁচ বছর ধরে সেই আইসিডিএস কেন্দ্রটি চলছে। কিন্তু এলাকার শম্ভু নায়েক নামে এক ঠিকাদার ওই কসবাড়িয়া মৌজার জায়গাটি কিনেছেন বলে মাটি ফেলে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ করেছিলেন। যার ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে আইসিডিএস সেন্টারের রান্নাঘরে ঢোকায়। গত কয়েকদিন রান্না বন্ধ হয়েছে। আইসিডিএস সেন্টারের পড়ুয়া থেকে প্রসূতিরা রান্না করা খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে প্রতিবাদে নামেন গ্রামবাসীরা। শিল্প গড়ার জন্য ১১ একর জমি ৩০ বছর আগে ইউনাইটেড ক্লোরো অর্গানিক প্রাইভেট লিমিটেড এইচডিএর কাছ থেকে নিয়েছিল। দীর্ঘ। কয়েক বছর শিল্প না করে ফেলে রেখেছিল শিল্প সংস্থাটি। এইচডিএকে আড়াল করে সেই জমি ঠিকাদার শম্ভু নায়েককে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে জমি কিনে আইসিডিএস সেন্টার হটানোর ষড়যন্ত্র করছেন শম্ভু নায়েক। আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকা কাজল জানা বলেন, "ক্ষমতার জোর দেখিয়ে একজন ঠিকাদার আমাদের আইসিডিএস সেন্টারটিকে বন্ধ করার কৌশল নিয়েছেন। চারপাশে যেভাবে মাটি ফেলেছেন, তার ফলে আইসিডিএস সেন্টারে যাওয়া-আসা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। কয়েক দিন রান্না বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মা ও শিশুদের নিয়ে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি।" স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত মাজি, সমর সামন্ত, সুরজিৎ রায়, বাবুলাল সামন্ত-সহ বহু গ্রামবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব পট্টনায়ক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। ঠিকাদার শম্ভু আচার-আচরণে কথাবার্তায় বেজায় ক্ষুব্ধ প্রশাসনিক কর্তারাও। তার বেআইনি কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট এইচডিএ কর্তৃপক্ষ। এপ্রসঙ্গে এইচডিএ চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর জানান, "আমরা যে জমি শিল্প সংস্থা ইউনাইটেড ক্লোরো অর্গানিক প্রাইভেট লিমিটেডকে দিয়েছি, সেই জমি ওই শিল্প সংস্থার কাছ থেকে অন্য কেউ কিনতে পারেন না। আমরা যাকে জমি দিয়েছি সেই শিল্প কর্তৃপক্ষকে শোকজ করেছি। সাতদিনের মধ্যে উত্তর চেয়েছি। বিষয়টিতে আমরা প্রশাসনিক পদক্ষেপ করছি।" এইচডিএর নির্দেশে এখন আপাতত প্রাচীর তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদার শম্ভু এইচডিএর কাছে ধরা দিচ্ছেন না। এলাকার মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন। উন্নয়ন পর্ষদের নজরদারির অভাবে বিভিন্ন জায়গা জবরদখল এবং জমি মাফিয়া দের হাতে চলে যাচ্ছে। যদিও এইচডি এর পক্ষ থেকে তাদের যে জায়গা গুলি রয়েছে সেই সকল জায়গায় বোর লাগানোর চেষ্টা করছেন যাতে জমি মাফিয়া দের কাছে কেউ ভুলবশত ওই জায়গা কিনে ভবিষ্যতে সমস্যায় না পড়েন। যদিও এইচ ডি এর বিভিন্ন জায়গায় জবর দখল করে দোকান চলছে এইচডি এর সামনেই অম্বুজা মল টেকার স্ট্যান্ড রয়েছে। সেই স্টিকার স্ট্যান্ডে এখন তৈরি হয়েছে মিনি মার্কেট টেকার গুলো আর দাঁড়াতে পারছে না যদিও এইচডি এর পক্ষ থেকে ওই স্ট্যাটাস স্ট্যান্ডের ভিতরেই বোরো লাগানো হয়েছিল। কে বা কারো রাতের অন্ধকারে, সেই বুদ্ধি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হেলদোল নেই এইচডিএ কর্তৃপক্ষের। সাধারণ মানুষের জন্য টেকার স্ট্যান্ড বিশ্রামাগার করা হয়েছিল এবং হলদিয়া পৌরসভার উদ্যোগে একটি সৌচাগার করার জন্য শিলান্যাস হয়েছিল। করেছিলেন হলদিয়া পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান সুধাংশু মন্ডল। তারপরেই বর ভেঙে যায় পৌর প্রশাসক নিয়োগ হয় তারপর থেকে কোন কাজ আর হয়নি। ওই এলাকায়।  বাথরুম তার হলো না ঐ জায়গায় এখন দোকান স্টল বসে ভর্তি না পাচ্ছে দাঁড়াতে মানুষ। অধিকাংশ টোটো অটো এবং টেকার রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে। তারফলে শুরু হয়েছে যানজট সমস্যায় পড়ছেন এলাকার মানুষ। শিল্পশহর স্মার্ট সিটি গ্রীন সিটি সবই এখন ধোঁয়াশা।


-

No comments