দূষিত জলের কবলে একাধিক গ্রাম!শিল্পতালুকে তিনটি ভোজ্য তেল কারখানার দূষিত জল বেশ কয়েকটি গ্রামে এসে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামগুলি হল যথাক্রমে দেভোগ উত্তরপল্লী, গেঁওয়াডাব, শোভারামপুর। দূষিত জলের জন্য এই সব গ্রামে গবাদি পশু অসুস্থ…
দূষিত জলের কবলে একাধিক গ্রাম!
শিল্পতালুকে তিনটি ভোজ্য তেল কারখানার দূষিত জল বেশ কয়েকটি গ্রামে এসে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামগুলি হল যথাক্রমে দেভোগ উত্তরপল্লী, গেঁওয়াডাব, শোভারামপুর। দূষিত জলের জন্য এই সব গ্রামে গবাদি পশু অসুস্থ হচ্ছে। গত চার-পাঁচ বছর ভালভাবে চাষ বাস হচ্ছে না। পুকুরের মাছ মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। দূষণ ছড়ানোর খবর পেয়ে গ্রামে যান বিজ্ঞানমঞ্চের কর্মীরা। মঞ্চের পক্ষে সন্দীপ পাত্র, প্রিয়া ভূঁইয়া, রুদ্রদীপ পাত্র, শুভদীপ দোলোই জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই কারখানার তেলমেশা দূষিত জল বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে গ্রামে ঢুকছে। পুকুর-খাল-বিলের সঙ্গে মিশছে। সেই জল গবাধি পশুর শরীরে লেগে ঘা হচ্ছে । মানুষ ভয়ে পুকুরে নামতে পারছে না। মাছ মরে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের ৪০টি পুকুর বিষাক্ত জলে ভরে আছে। প্রায় ১৫০০ পরিবার দূষিত জলের কবলে। স্থানীয়রা জানান, ভোজ্য তেল কারখানার জল আগে ক্যালসের মাঠের পাশ দিয়ে পাতিখালি খালে চলে যেত। এখন খাল অবরুদ্ধ। রয়েছে কালভার্টের সমস্যাও। দিন সাতেক আগে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেখানে এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা দূষণ দেভোগের উত্তরপল্লিতে। তবে বর্ষার আগে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, জানা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে পুরসভা, এসডিও-সবাইকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বিজ্ঞানমঞ্চের জেলা সম্পাদক শুচিস্মিতা মিশ্র বলেন, "আমরা ওই এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছি।" হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সিইও কন্থোম সুধীর বলেন, "নিকাশি ব্যবস্থার সুরাহা করতে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে।"
No comments