আইএনএস বিক্রান্ত, আকাশ, সুদর্শন চক্র, এল ৭০- মধ্যরাতে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিল ভারতের এই সমরাস্ত্র
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার উত্তেজনা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে। ভারতের প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের ষড…
আইএনএস বিক্রান্ত, আকাশ, সুদর্শন চক্র, এল ৭০- মধ্যরাতে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিল ভারতের এই সমরাস্ত্র
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার উত্তেজনা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে। ভারতের প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র ।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার উত্তেজনা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে। ভারতের প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র। বৃহস্পতিবার রাতেই পাক সেনাবাহিনীর হামলা বানচাল করেছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের দুটি জেএফ-১৭ এবং একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে মাটিতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে ড্রোন হামলার জবাবও দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। রাতভর টানা সতর্ক থেকে পাক সেনার একের পর এক ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে ভারতের বীর সেনারা। এবার জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করে ভারত এই সাফল্য পেল।
এল-৭০: গত রাতে, যখন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর একাধিক স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন হামলার চেষ্টা করছিল, তখনই উধমপুর, সাম্বা, জম্মু, আখনুর, নাগরোটা এবং পাঠানকোট সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলির অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম লঞ্চ করা হয়। যার জেরে কমপক্ষে ৫০টিরও বেশি পাক ড্রোন ধ্বংস হয়।
এস-৪০০: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন থাকা এস ৪০০ বা সুদর্শন চক্র পাক সেনার কুচক্রী মনোভাব ব্যর্থ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জম্মুর বিমানঘাঁটিতে রকেট হামলা চালায় পাকিস্তান।
বিজ্ঞাপন
তবে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সতর্কতা এবং শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই হামলাকে ভোঁতা করে দিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিক এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে আকাশেই পাকিস্তানের ছোড়া ৮টি মিসাইল ধ্বংস করে দেয়।
আইএনএস বিক্রান্ত: ভারতের আইএনএস বিক্রান্ত সমুদ্রে শক্তি প্রদর্শন করেছে। পহেলগাঁও হামলার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতেই ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে আইএনএস বিক্রান্তকে মোতায়েন করেছে। এই নৌবহরে রয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরী, ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, সাবমেরিন-বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ এবং অন্যান্য সমরাস্ত্র। যা বিপক্ষেপ বুকে কাঁপুনি ধরাতে যথেষ্ট।
জেডএসইউ-২৩-৪ (শিলকা): রাশিয়ান এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পোশাকি নাম জেডএসইউ-২৩-৪ হলেও, এটি শিলকা নামেই বেশি পরিচিত। এই অটোমেটিক সিস্টেমটি ২০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করে টার্গেট হানতে সক্ষম। এটি প্রতি মিনিটে ৪,০০০ রাউন্ড পর্যন্ত গুলি চালাতে পারে। গতকাল রাতে ছোট ড্রোনগুলির মোকাবিলার জন্য এটিকে ইনস্টল করা হয়েছিল।
আকাশ মিসাইল সিস্টেম: বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, চণ্ডীগড় এবং আরও ১৫টি শহরে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে মিসাইল ও ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু আকাশ মিসাইল সিস্টেম পাকিস্তানের এই উদ্দেশ্য সফল হতে দেয়নি। সূত্রের খবর, গতকাল শ্রীনগর অভিমুখে আসা একটি পাকিস্তানি জেএফ-১৭ জেট বিমান ধ্বংস করেছে এই আকাশ মিসাইল সিস্টেমই। এটি ড্রোন, মিসাইল ট্রাকিং ও ধ্বংস করতে সিদ্ধহস্ত। বিশেষ বিষয় হল এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি দেশীয়ভাবে তৈরি এবং ডিআরডিও-র তরফে ডিজাইন করা হয়েছে। বর্তমানে এটি ভারতীয় সেনার অন্যতম ভরসা।
No comments