Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

১৩ জন কর্মী হলদিয়া বন্দরে স্থায়ী চাকরির স্বীকৃতি পেলেন

সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে হলদিয়া বন্দরের অফিসার্স ক্লাব তথা গেস্ট হাউসের ১৩ জন কর্মী হলদিয়া বন্দরে স্থায়ী চাকরির স্বীকৃতি পেলেন ১৯৯৬ সাল থেকে ধারাবাহিক আইনী লড়াই করে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে হলদিয়া বন্দরের অফিসার্…

 



সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে হলদিয়া বন্দরের অফিসার্স ক্লাব তথা গেস্ট হাউসের ১৩ জন কর্মী হলদিয়া বন্দরে স্থায়ী চাকরির স্বীকৃতি পেলেন

 ১৯৯৬ সাল থেকে ধারাবাহিক আইনী লড়াই করে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে হলদিয়া বন্দরের অফিসার্স ক্লাব তথা গেস্ট হাউসের ১৩ জন কর্মী হলদিয়া বন্দরে স্থায়ী চাকরি তথা কর্মীর স্বীকৃতি পেলেন। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের স্থায়ী পদে নিয়োগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ সেই আদেশ কার্যকরী না করে এবং লেবার ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা কোর্টের একাধিক বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করে। তার চুড়ান্ত রায়ে গতকাল, ২রা এপ্রিল ২০২৫ সুপ্রীম কোর্ট শ্যামাপ্রসাদ পোর্ট ট্রাস্ট, কলকাতা কর্তৃপক্ষকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। এরফলে গেস্ট হাউস কর্মচারীদের  ১৯৯৬ সাল থেকে করে আসা লড়াইয়ে জয় হল। 

উল্লেখ্য ১৯৯৬ সালে হাই কোর্টের এক আদেশ বলে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের ক্যান্টিনের কর্মীদের স্থায়ী পদে নিযুক্ত করে। এই ক্যান্টিনগুলি বন্দরের একটা অটোনমাস বডি পরিচালনা করত। আর গেস্ট হাউস পরিচালনা করত বন্দরের অফিসার্স ক্লাব। ক্যান্টিনের কর্মীদের মত তাদেরও স্থায়ী পদে নিযুক্ত করার জন্য পোর্টের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানান গেস্ট হাউস-এর ১৬ জন কর্মচারী। বন্দর কর্তৃপক্ষ তা না মানায় তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ১৯৯৬ সালের নভেম্বর মাসে কোর্ট এই কর্মীদের ১৯৯৭-এর জুনের মধ্যে স্থায়ী পদে নিয়োগ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু পোর্ট তা কার্যকরী না করায় কর্মচারীরা ১৯৯৮ সালে পোর্টের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীকালে লেবার ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা হাইকোর্টের ফার্স্ট বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগ কার্যকর করার নির্দেশ দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ সুপ্রীম কোর্টে রিট আবেদন করেন। গতকাল, ২ এপ্রিল, ২০২৫ সুপ্রীম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ও হাইকোর্টের নির্দেশকে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। কোর্টের রায়ে আনন্দিত গেস্ট হাউস-এর কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা। 

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য ১৯৯৬ সালে যে ১৬ জন মামলা করেছিলেন তাদের মধ্যে ২ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। ৪ জন চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। ২ জন বন্দরের অন্য বিভাগে স্থায়ী চাকরি পেয়েছেন। একজন  (গোবিন্দ শঙ্কর চৌধুরী) আমেরিকা চলে গেছেন। বাকী ৭ জন এখন গেস্ট হাউস-এর কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। 

তাঁদের একজন হলেন - সত্যরঞ্জন মাইতি। তিনি বলেন, 'সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট, লেবার ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিচারকের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।'

হলদিয়া কলকাতা পোট অ্যান্ড ডক শ্রমিক ইউনিয়ন এর পক্ষে প্রদীপ বিজলী বলেন  গেস্ট হাউসের কর্মীদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই আপনারা এগিয়ে চলুন আপনাদের সাথে আমাদের ইউনিয়ন আছে।


No comments