পেট্রোকেম ঘিরে রাজ্যে সাড়ে ৬ লক্ষ কর্মসংস্থান, দাবি সংস্থার বিজ্ঞপ্তিতে
হলদিয়া পেট্রকেমকে ঘিরে রাজ্যে প্লাস্টিক ও পলিমার নির্ভর শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান দু'দশকে প্রায় পাঁচশো গুণ বেড়েছে বলে সম্প্রতি এক সমীক্ষা…
পেট্রোকেম ঘিরে রাজ্যে সাড়ে ৬ লক্ষ কর্মসংস্থান, দাবি সংস্থার বিজ্ঞপ্তিতে
হলদিয়া পেট্রকেমকে ঘিরে রাজ্যে প্লাস্টিক ও পলিমার নির্ভর শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান দু'দশকে প্রায় পাঁচশো গুণ বেড়েছে বলে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে ওই ক্ষেত্রে মাত্র ১২ হাজার মানুষ কাজ করতেন। সমীক্ষা রিপোর্ট জানাচ্ছে, এখন রাজ্যের প্লাস্টিক নির্ভর ক্ষেত্রে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের নিয়মিতপ্রকল্পের কাজ চলছে হলদিয়ায়। ওই বিজ্ঞাপ্তিতে প্লাস্টিক শিল্পকে ঘিরে কর্মসংস্থানের সমীক্ষার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ। শুধু কর্মসংস্থান নয়, রাজ্যে প্লাস্টিক শিল্পে চাহিদার একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে উর্ধমুখী রেখাচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এরাজ্যে পলিমারের ব্যবহার গত চার বছরে চারগুণ বেড়েছে। ২০২১ সালে পলিমারের ব্যবহার হত ১ লক্ষ
রুটিরুজির জোগাড় হয়। মঙ্গলবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে হলদিয়া পেট্রকেম। সংস্থার সিইও নভনীত নারায়ণ জানিয়েছেন, ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে পেট্রকেমের সম্প্রসারণ এবং নয়া ফেনল প্রকল্প রাজ্যে প্লাস্টিক শিল্পে ফের নবদিগন্তের উন্মোচন করবে। ২০২৬ সালের মার্চে ওই প্রকল্প চালু করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। জোরকদমে
৮০ হাজার টন, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮লক্ষ ৫০ হাজার টন। রাজ্যে পেট্রকেমের অনুসারি শিল্প ৪২টি থেকে বেড়ে ১৩৮৬টি হয়েছে। পেট্রকেম তাদের বিজ্ঞাপ্তিতে উল্লেখ করেছে, রাজ্যের জিডিপি ২০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখানকার বৃদ্ধির হার প্রায় ১২ শতাংশ।
রাজ্যে পলিমার ও প্লাস্টিক ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে। তা সত্ত্বেও এরাজ্যের মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার ৯ কেজি, যেখানে দেশের গড় ১৫ কেজি। ফলে পশ্চিমবঙ্গে প্লাস্টিক শিল্পের বাজার ক্রমবর্ধমান। সেদিকে তাকিয়েই এরাজ্য নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রকেম। রাজ্যে শিল্প স্থাপনের পরিবেশ খুবই ভাল বলে পেট্রকেমের ওই বিজ্ঞাপ্তিতে স্পষ্ট। সম্প্রতি নয়া চুক্তিতে হলদিয়ায় নির্মিয়মাণ নয়া ফেনল প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা ৩লক্ষ টন থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টন করা হবে বলে জানানো হয়। গত বছর জানুয়ারিতে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণ কাজে প্রতিদিন ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করছে। পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন তারা বছরে শুধু কেমিকেলস বিক্রি করে ৩হাজার ২৬০কোটি টাকার। নয়া ফেনল প্রকল্প উৎপাদন শুরু করলে স্পেশালিটি কেমিকেল উৎপাদনে দেশের এক নম্বর জায়গা দখল নেবে হলদিয়া পেট্রকেম। এর ফলে রাজ্যে নতুন করে আরও ক্ষুদ্র শিল্প তৈরি হবে।
No comments