অতীত থেকে বর্তমানে হলদিয়া শিল্প শহরের কারখানা বেড়েছে দাবি হলদিয়া উন্নয়ন সভাপতি মিলন মন্ডল, বিএমএস রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলছে এই সরকারের আমলে হলদিয়া দেউলিয়া হয়েছে!প্রসঙ্গত, ৭০ দশক কংগ্রেস জমানা থাকাকালীন বন্দরের সাথে সা…
অতীত থেকে বর্তমানে হলদিয়া শিল্প শহরের কারখানা বেড়েছে দাবি হলদিয়া উন্নয়ন সভাপতি মিলন মন্ডল, বিএমএস রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলছে এই সরকারের আমলে হলদিয়া দেউলিয়া হয়েছে!
প্রসঙ্গত, ৭০ দশক কংগ্রেস জমানা থাকাকালীন বন্দরের সাথে সাথেই শিল্পশরে কাজ শুরু হয় ১৯৫৯ সালের ১লা নভেম্বর এ্যাঙ্কারেজে প্রথম হলদিয়া বন্দরের জাহাজে পন্য ওঠানামা শুরু হয়েছিল। বাম জমানায় ৮০ দশক থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানা গড়ে ওঠে হলদিয়া পূর্ব ভারতের অন্যতম অনুসারী শিল্প পেট্রো কেমিক্যালস যা ১২০০ একর জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে। সেই সময় কালে যুবকদের একটা বাড়তি পাওনা সেই সময়কালে রাজ্য সরকার নগর উন্নয়নের প্রথম দিক তুলে ধরেছে যা রাজ্যের দৃষ্টান্ত পুনর্বাসন করার মধ্য দিয়ে যে নগর উন্নয়ন বর্তমানে রাজ্যের মডেল।
মূলত ৮০ দশক থেকে এই কাজ শুরু হলেও ৯০ দশকে জায়গায় অধিগ্রহ নিয়ে শুরু হয় আন্দোলন ২০০০ সালে হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যালসের উৎপাদন শুরু হয় এবং তাকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি অনুসারী শিল্প গড়ে উঠেছে ।২০১১ সালের পর হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা রোহিত ফেরোটেক ,উড়াল ইন্ডিয়া ট্রাক খানা, কে এস ওয়েল , রেলের কোচ ডি ই এম ইউ, সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক সিটি সেন্টার।
জমি নেওয়ার পরও শিল্প হয়নি চকদ্বীপা কার্গো হাব, শালুক খালি ডক টু প্রকল্প , ক্যালস রিফাইনারি মাতঙ্গিনী মোড় তেঁতুলবেড়িয়া।বর্তমান সরকার তৃণমূল সরকারের সময়কালে হলদিয়া ছেড়েছে রাজ্যের প্রথম ফরেন ডিরেক্টর ইনভেস্টমেন্ট এফ ডি আই জাপানি সংস্থা মিৎসুবিশি কেমিক্যাল। ২০০৩ সালে মিৎসুবিশি পি টি এ প্ল্যান্ট চালু হয়। ২০০৮ সালের সংস্থাটি হলদিয়া প্ল্যান সম্প্রসারণ করে এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ব্যবসার জন্য পিটিএ রিসার্চ হেডকোয়ার্টার বা সদর দপ্তর হলদিয়ায় সরিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কারখানার গেট দখল কে কেন্দ্র করে অরাজকতা শুরু হয় লাভজনক ইউনিক ধুঁকতে শুরু করে। কারখানাটি বি আই এফ আর চলে যায় । পরে ২০১৬ সালে পেট্রো ক্যামের মালিক চ্যাটার্জী গোষ্ঠী অর্থাৎ পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জি মিৎসুবিশি কারখানা টিকে কিনে নেন। ২০১৮ সালে প্রায় ১০০ একর জমি চায় রাজ্য সরকারকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে পূর্ব ভারতের প্রথম পলিস্টার কারখানার তৈরি করার কথা ছিল । কিন্তু জমির দাম নিয়ে প্রায় সাত বছর টানাপড়োন চলে । ওই শিল্প সংস্থা প্রকল্প সম্প্রতি হলদিয়া থেকে উড়িষ্যায় সরিয়ে নিয়েছে ওই প্রকল্প হলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতো,হলদিয়া সহ বাংলায়।
সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে বন্দর থেকে এবিজি কোম্পানিকে তাড়ায় শাসক দল তৃণমূল এবিজি সংস্থার ডাম্পারের ইঞ্জিন এর বালি ঢেলে সেগুলিকে অকেজো করে দেওয়া হয়। মাঝরাতে টাউনশিপ আবাসনে হামলা চালিয়ে এবিজি আধিকারিকদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ।এবিজি দু'নম্বর এবং ৮ নম্বর বার্থে আধুনিকরণের জন্য বিনিয়োগ করেছিল কয়েকশো কোটি টাকা। বার্থের স্বয়ংক্রিয় পণ্য উঠানামানোর জন্য । বন্দরে ভিতরে এবিজি কয়েকশো কোটি টাকার ক্রেনগুলি বারো বছরে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। ২০১১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে কুকড়াহাটির কাছে শালুকখালীতে হলদিয়া বন্দরের 'ডক-টু'র শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সময় ছিলেন ইউ পি এ সরকারের রেলমন্ত্রী জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায় কে সঙ্গে নিয়ে প্রকল্পের রিমোট সুইচ টিপে হাতিবেড়্যা থেকে শিলান্যাস করেন সেই প্রকল্প আজও অধরা। ওই প্রকল্প জন্য বন্দরের একশো কুড়ি একর জায়গা জমি রয়েছে। ফলে আলাদা করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন ছিল না । কিন্তু চোদ্দ বছর অতিক্রান্ত প্রকল্পে আলো মুখ দেখেনি। ১৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প ( এখন ২৫০ কোটি টাকা হয়েছে) প্রকল্পের জমি নিয়ে কোন সমস্যা নেই কিন্তু কেন্দ্রীয় রাজ্যের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়। ওই প্রকল্প জন্য একাধিক বার টেন্ডার ডাকা হয়েছে বর্তমানে একটি সংস্থা দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজ শুরু করতে গড়িমসি করছে কারণ পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে হলদিয়ায় শিল্পের অবস্থা খারাপ। বিনিয়োগ করতে গিয়ে একাধিকবার ভাবছে সংস্থাটি। সিটি সেন্টারের কাছে বাম আমলে ক্যালসিফাইনারি জন্য জমি দেওয়া হয়েছিল প্রকল্প অথৈ জলে ওই প্রকল্পের জন্য প্রাচীর একটি ইট ও অবশিষ্ট নেই। অভিযোগ এখন বর্তমানে দিনে রাতে শাসক দলের মদতে ওই প্রকল্পের এলাকার জমি মাটি চুরি হচ্ছে। পরিসংখ্যানে জানা যায় ২০১১ সালের পর থেকে হলদিয়ায় চিরতরে চালু কারখানা বন্ধ হয়েছে উড়াল ট্রাক কারখানা, রোহিত ফেরোটেক, কে এস এল ভোজ্য তেল কারখানা, রেলের কোচ কারখানা ডি ই এম ইউ, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক সিটি সেন্টার ।গত ১৩-১৪ বছরে হলদিয়ার একাধিক কারখানা ধুকছে এবং বিআইএফআর এ গিয়েছে তার মধ্যে- মিৎসুবিশি পিটিএ প্ল্যান ,এন্নোর কোক, রুচি সয়া ভোজ্য তেল এখন যেটা পতঞ্জলি ফুড প্রোডাক্টস নামে পরিচিত। মডার্ন ইন্ডিয়া কনকাস্ট, সিটি সেন্টার আইটি পার্ক।
শিল্প শহরে জমি নেওয়ার পর ও শিল্প হয়নি যেমন ক্যালস ফাইনারি মাতঙ্গিনী মোড় তেঁতুলবেড়িয়া, চকদ্বীপা কার্গোহাব, শালুখালী ডক টু প্রকল্প। এসব তথ্য মানতে নারাজ তিনি বললেন উন্নয়ন হচ্ছে শাসক দলের হলদিয়া উন্নয়ন সভাপতি মিলন মন্ডল দাবি করলেন এই সময়কালে শিল্প শহর হলদিয়ায় কর্মসংস্থান বেড়েছে। বিএমএস রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বিজলী বললেন তথ্য মানুষের কাছে রয়েছে সুযোগ পেলেই সরকার বদলে দেবে জনগন। আগামী ২৬ শে বিধানসভা নির্বাচনে পালটে দিবে সরকার সমস্ত মানুষ প্রস্তুত রয়েছে শুধু সময়ের অপেক্ষা।
No comments