২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীর মামলায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত শুনানি
স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীর মামলায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত শুনানি হবে। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগে দুর্নীতির…
২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীর মামলায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত শুনানি
স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীর মামলায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত শুনানি হবে। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে চলা মামলায় পুরো প্যানেল বাতিল করে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের নতুন করে করার দাবি করেছে নিজেদের ‘যোগ্য’ অথচ চাকরি না পাওয়া আবেদনকারীরা। ‘কিন্তু সেটা তো বিরাট প্রক্রিয়া।’ মন্তব্য করেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
যদিও নিজেদের যোগ্য দাবি করা আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর প্রস্তাব, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে চাকরির বয়সসীমার বিষয়টি মকুব করা হোক। তাহলেই যারা সেই সময় প্রকৃত আবেদন করেছিল, তারা সুযোগ পাবে। যারা প্যানেল মেয়াদের সময় পার হওয়ার পরেও চাকরি পেয়েছেন, অথবা ফাঁকা খাতা জমা দিয়েও ঘুরপথে নিযুক্ত হয়েছেন, ধরা পড়ে যাবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিকাশবাবুর অভিযোগ, এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। ইন্সটিউটিশনাল কোরাপশন।
সোমবার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে যারা মূল মামলাকারী, তাদের বক্তব্য শোনা হল। আগে সরকার, বোর্ড এবং কমিশনের বক্তব্য শুনে নিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে সরকারের বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, কিছু ক্ষেত্রে তার জবাব আগামী দিনে সরকার পক্ষকে দিতে হবে। বিকাশবাবু, রউফ রহিমদের অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় চক্র কাজ করেছে। তৎকালনীন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫০ কোটি নগদ পাওয়া গিয়েছে। প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও ৩১৮ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রার্থীদের থেকে ৭-৮ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এবং বোর্ড এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিজেদের মধ্যেও কোনও সমন্বয় নেই। দুজনে পৃথক রিপোর্ট দিয়েছে। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও পাঁচবার কাউন্সিলিং হয়েছে। দুর্নীতি যে হয়েছে, তা মেনেও নিয়েছে কমিশন। তাহলে কেন পুরো প্যানেল বাতিল হবে না? প্রশ্ন তুলেছেন চাকরি না পাওায় নিজেদের যোগ্য দাবি করা আবেদনকারীদের আইনজীবী।
এ ব্যাপারে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সতর্ক থাকারই পরামর্শ দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। কমিশনের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তকে বিচারপতির বার্তা, ‘বি কেয়ারফুল। ডোন্ট মেক রং স্টেটমেন্ট।’ কমিশনের কাছে নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু তথ্য জানতেও চায় সর্বোচ্চ আদালত।
No comments