প্রতারণা! হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর চাকরি থেকে বাদ পড়তে পারেন।"
চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতানোর ছক হলদিয়া বিভিন্ন জনকে চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতানোয় অভিযুক্ত সুতাহাটার এক শিক্ষক তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর এলাকা ছেড়ে উধাও। ট…
প্রতারণা! হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর চাকরি থেকে বাদ পড়তে পারেন।"
চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতানোর ছক হলদিয়া বিভিন্ন জনকে চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতানোয় অভিযুক্ত সুতাহাটার এক শিক্ষক তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর এলাকা ছেড়ে উধাও। টাকা নিলেও কোথাও কাউকে কোনও চাকরি তিনি দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় স্কুলেও যাচ্ছেন না তিনি। জানা গিয়েছে, ঘটনা চাপা দিতে যদিও ব্যক্তিগত অসুস্থতার যুক্তিকে সামনে এনেছেন সুতাহাটার উত্তর বাসুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শুভ্রবরণ শতপথী। এক সময় হলদিয়া পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। স্কুলে অন্যান্য শিক্ষকরা নিয়ম করে এলেও তিনি ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে অনুপস্থিত। অভিযোগ, প্রায় এক বছর হতে চলল তাঁর কোনও খোঁজ নেই। এখন ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিনাকীশংকর পতি জানিয়েছেন, "শুভ্রবাবু ধাপে ধাপে ১৮০ দিন ছুটি নিয়েছিলেন। সেই ছুটি শেষ হওয়ার পরেও তিনি ফের স্থানীয় স্কুল পরিদর্শকের কাছে ছুটি চেয়েছিলেন বলে জানি। মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে ছুটি নিতে গেলে মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখানোর কথা বলা হয়। উনি তা করেননি। তাঁর অনুপস্থিতির বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরে জানানো হয়েছে। এবার প্রশাসনের তরফে কি সিদ্ধান্ত হয়, তা পরে জানা যাবে।" স্থানীয়রা জানিয়েছেন, "শুভ্রবরণ চাকরির টোপ
দিয়ে অনেকের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছেন। ফেরৎ দেবেন বলে এখনও দেননি।" বিভিন্ন কাজের টোপ দিয়ে এলাকায় এমনি ৩০-৪০ জনের কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় স্কুল পরিদর্শক আবিরা দিল্ডা বলেন, "এ বিষয়ে রিপোর্ট পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে জমা দিয়েছি। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারছি না।" জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের তরফে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুল গরহাজির থাকছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, "শুভ্রবরণ শতপথী দীর্ঘদিন স্কুলে আসছেন না। বর্তমানে তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুপস্থিতির কারণ জানতে বার বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। এবার আমরা এএসআই এবং এসআইদের নিয়ে তিনজনের তদন্ত কমিটি করব। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছি। হয়তো উনি চাকরি থেকে বাদ পড়তে পারেন।"
কাঁথি থানা, মেদিনীপুর এবং লালবাজারে শুভ্র বরণের নামে ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত প্রশাসনের পদক্ষেপের অপেক্ষায় এলাকার মানুষজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, একাধিকবার পুলিশ শুভ্রবরণের খোঁজ করলেও পায়নি। তিনি বারবার বাড়ি বদল করছেন। তবে তাঁর খোঁজ চলছে। ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল।
No comments