হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনায় দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার পর থেকে এলাকার বাসিন্দারা সন্ধের পর থেকে বাইরে বেরতে ভয় পাচ্ছেন। স্থানীয়দের অ…
হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনায় দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার পর থেকে এলাকার বাসিন্দারা সন্ধের পর থেকে বাইরে বেরতে ভয় পাচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার পরও এলাকায় কোনও পুলিসি টহল নেই। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ছাত্রীর ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনা সহ একাধিক ঘটনা নিয়ে হলদিয়া থানার ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। ছাত্রীর পরিবার শুক্রবার রাতে হলদিয়া থানায় অভিযোগ করে। ঘটনার সময় বাইকে কতজন দুষ্কৃতী ছিল তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। প্রথমে দু'জন বাইক আরোহীর কথা বলা হয়। তবে সিসিটিভি ফুটেজে একজন বাইক আরোহী হেলমেট পরিহিত ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। পুলিস যদি সিসিটিভি ফুটেজে একজন বাইক আরোহী চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে এখনও কেন কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার টিউশন পড়ে ফেরার সময় ছুরির আঘাতে জখম হয় একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। ওই পড়ুয়ার বাড়ি ক্ষুদিরামনগরে। রেল কারখানার পাশের নির্জন রাস্তায় বাড়ি ফেরার সময় ওই পড়ুয়াকে ছুরি মারে অজ্ঞাত পরিচয় এক বাইক আরোহী। পড়ুয়া ওইসময় সাইকেল চালিয়ে ফিরছিল। হঠাৎই একটি বাইক এসে তাকে পিছন থেকে ছুরি মারে। পড়ুয়াটি শ'খানেক মিটার হেঁটে এসে একটি চা দোকানের সামনে আর্তনাদ করে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। হলদিয়ার এসডিপিও অরিন্দম অধিকারী বলেন, পুলিস ওই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য সচেষ্ট। তবে স্থানীয়রা হলদিয়া থানার পুলিস আধিকারিকদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অভিযোগ করতে গিয়ে ছাত্রীর পরিবার পুলিসের ভয়ে রীতিমতো তটস্থ। এখবর পেয়ে শুক্রবার রাতে হলদিয়ার এসডিপিও তৎপরতা দেখাতেই হলদিয়া থানার পুলিসের ছুটোছুটি শুরু হয়েছে। তবে হাসপাতালে গিয়ে জখম ছাত্রী ও তার পরিবারকে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করায় তারাও খুবই সন্ত্রস্ত।
No comments