না খেয়ে মানুষ বাঁচতে পারে, কিন্তু অযত্নে মানুষ শেষ হয়ে যায় - কবিতাবর্তমানে সমাজ কি আজব? সবই সম্ভব, সবটাই বাস্তব!মানুষ এক বেলা না খেয়ে থাকতে পারে, এদিক সেদিক করে দিন পার করে দিতে পারে। কিন্তু এক বেলা অযত্ন মানুষকে যতটা পোড়ায়, য…
না খেয়ে মানুষ বাঁচতে পারে, কিন্তু অযত্নে মানুষ শেষ হয়ে যায় - কবিতা
বর্তমানে সমাজ কি আজব? সবই সম্ভব, সবটাই বাস্তব!
মানুষ এক বেলা না খেয়ে থাকতে পারে, এদিক সেদিক করে দিন পার করে দিতে পারে। কিন্তু এক বেলা অযত্ন মানুষকে যতটা পোড়ায়, যতটা শেষ করে ফেলে — সেই যন্ত্রণা হয়তো না খেতে পারার চেয়েও তীব্র।
মাঝে মাঝে মনে হয় না খেয়ে থেকেও বেঁচে থাকা যায়। কিন্তু যখন কেউ যত্ন করতে করতে হঠাৎ যত্ন করা ছেড়ে দেয়, ঠিক সেই মুহূর্তটায় নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরীহ মানুষদের একজন মনে হয়।
পৃথিবীতে মানুষ যেকোনো ভাবেই বেঁচে যায়। সৃষ্টিকর্তার করুণায় কেউ না খেয়ে থাকে না। আবার যারা না খেয়ে থাকে তাদের পেটের ক্ষুধাটাই অনুভূত হয়। অথচ এক বেলা অযত্ন মানুষের কয়েক শতাব্দীর ক্ষুধার যন্ত্রণাকেও হার মানিয়ে দেয়।
আসলে পৃথিবীটা অদ্ভুত। কেউ কেউ সব কিছু পেয়েও ভালো থাকে না। আবার যারা খুব করে চায়, তারা সেই কমটাও পায় না। একটু যত্ন একটা মানুষকে কতটা সুস্থ রাখে, কতটা ভালো রাখে, আবার কতটা বিধ্বস্ত বানিয়ে ফেলে সেটা যদি যত্ন না নেওয়া মানুষটা বুঝতো, তাহলে হয়তো কখনো অযত্ন করার সাহস দেখাতো না।
সমাজটা স্বার্থপরে স্বার্থের জন্য মানুষ কিনা করতে পারে। যখন সেই মানুষকে প্রয়োজন হয় তার জন্য বারবার খোঁজ নেওয়া, তাকে তালিপ করা সবটাই করে। কিন্তু স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে তাকে আর কেউ মনে রাখে না, এটাই বাস্তব, এটাই সম্ভব। চাণক্য বলেছেন যেখানে যার সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ থাকে। সে একদিন সেই জায়গায় তার কোন চিহ্নই থাকেনা এটাই বাস্তব।
No comments