ট্যাবে প্রতারিত ছাত্রছাত্রীদের ফেরানো হলো টাকা, খুশি পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা, অভিযুক্তদের তোলা হলো আদালতে
"তরুনের স্বপ্ন" প্রকল্পে ট্যাব কেনার টাকা জালিয়াতির ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরে ২৫৩ জন ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে আবারও ২৫…
ট্যাবে প্রতারিত ছাত্রছাত্রীদের ফেরানো হলো টাকা, খুশি পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা, অভিযুক্তদের তোলা হলো আদালতে
"তরুনের স্বপ্ন" প্রকল্পে ট্যাব কেনার টাকা জালিয়াতির ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরে ২৫৩ জন ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে আবারও ২৫ লক্ষ টাকা পাঠাল শিক্ষাদপ্তর। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এই জেলায় মোট ৩২টি স্কুলে ২৫৩ জন পড়ুয়ার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল সাইবার প্রতারকরা। তারমধ্যে কোলাঘাট ব্লকের গোপালনগর কে কে ইনস্টিটিউশনের দুই পড়ুয়ার টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। বাকি ২৫১ জন পড়ুয়ার টাকা দ্বিতীয় বারের জন্য পাঠাল রাজ্য। গত দু'দিনে তাদের অ্যাকাউন্টে ২৫ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালে এই জেলায় ২৫৩ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল। তারা তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত ছিল। রাজ্য সরকার পুনরায় তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছে।একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৭৮ হাজার ১১৮ ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ৭৮ কোটি ১১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পুজোর ছুটির মধ্যে জানা যায়, চারটি স্কুলে ৬৪ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। ওই চার স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর নজরে আনেন। তারপর জেলাশাসকের নির্দেশে এনিয়ে ডিআই (সেকেন্ডারি) তমলুক থানায় এফআইআর করেন। ওই বিষয় নিয়ে হইচই হতেই পরবর্তীতে জানা আরও জেলায় আরও একগুচ্ছ স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়ারা ট্যাব কেনার টাকা পায়নি। এনিয়ে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য তমলুকের মানিকতলায় ডিআই (মাধ্যমিক) অফিসে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের ভিড় লেগে যায়। জানা যায় জেলার ৩২টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে মোট ২৫৩জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব করে দিয়েছে সাইবার প্রতারকরা। ওই ঘটনায় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) এফআইআরের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিস একটি স্পেশাল টিম গঠন করে। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় মোট ১০ জন ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে ন'জন এবং মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে আরও একজন ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে চোপড়া থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তমলুক থানায় আনা হয়েছে। বুধবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়।
পড়ুয়া সায়ন হাজরা ও কোয়েল বেরা জানান, " পড়াশোনার জন্য রাজ্য সরকার আমাদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকার বরাদ্দ করে। সেই টাকা স্কুলের অনন্য পড়ুয়ারা পেলেও আমরা বঞ্চিত হয়। চিন্তায় ছিলাম পাবো কি না৷ অবশেষে সেই টাকা পেয়ে খুব ভালো লাগছে"।
শিক্ষক প্রশান্তকুমার ভৌমিক জানান, " পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের প্রকল্প চালু করায় আমরা ভীষণ খুশি। কিন্তু রাজ্যের বেশ কিছু জেলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একাধিক পড়ুয়ার টাকা জালিয়াতি হত। প্রশাসনের চেস্টায় সেই টাকা আবার পড়ুয়ারা ফিরে পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে"।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ( মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র জানান, " সামনেই পড়ুয়ায়দের পরিক্ষা। তার আগে পড়ুয়াদের হাতে টাকা ফেরাতে পেরে খুব ভালো লাগছে"।
No comments